হায়দরাবাদ, 15 সেপ্টেম্বর : কোভিড-19 রুখতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি ৷ এর ফলে একজন সংক্রামিত রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস বা কথা বলার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে না, জানিয়েছন গবেষকেরা ৷ পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক ৷
বদ্ধ জায়গায় বায়ুকণার মাধ্যমে সংক্রমণ আটকানোর জন্য কি শারীরিক দূরত্ব যথেষ্ট ?
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Pennsylvania) একদল আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ার (Architectural engineering) দেখেছেন, বাতাসের এরোসলগুলির (aerosols) সংক্রমণ রোধে 2 মিটারের দূরত্ব যথেষ্ট নয় ৷
ভেন্টিলেশন থাকা ঘরগুলিতে এই এরোসল অনেক দূরে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷ মেঝে থেকে টাটকা হাওয়া অনবরত উপরে উঠে গরম বাতাসকে সিলিংয়ের দিকে ঠেলে দিয়ে বের করে দেয় ৷ বেশির ভাগ বাড়িতে এ ধরনের ভেন্টিলেশন পদ্ধতি রয়েছে ৷ এতে 7 গুণ বেশি সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷
অনেক অফিস বিল্ডিংয়ে মিক্স-মোড (mixed-mode systems) ভেন্টিলেশন পদ্ধতি থাকে ৷ এতে বাইরের বাতাস ভিতরের বাতাসে মিশে কম ঘনীভূত করে ৷ সেখানে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকে ৷
আরও পড়ুন : Sukhivabha: মাস্ক পরে শরীর চর্চা করা সম্ভব এবং তা নিরাপদ, জানাচ্ছন গবেষক ইয়োশিহারা
আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপক (Associate Professor) ডি রিম (Donghyun Rim) বললেন, "আমাদের গবেষণা থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, মাস্ক ছাড়া কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির কথা বলার সময় ভাইরাস আছে এমন কণা দ্রুত অন্য মানুষে ছড়িয়ে পড়ে ৷ 2 মিটার দূরত্বে এক মিনিটের মধ্যে ৷"
তিনি আরও জানান, যথেষ্ট ভেন্টিলেশন না-থাকা ঘরে এই প্রবণতা বেশি থাকে ৷ তাই শারীরিক দূরত্ব যথেষ্ট নয়, এর সঙ্গে মাস্ক আর যথেষ্ট ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন ৷ এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে সাসটেনেবল সিটিজ অ্যান্ড সোসাইটি-তে (Sustainable Cities and Society) ৷
গবেষকেরা 3টি বিষয় পরীক্ষা করেছেন:
1. কোনও জায়গায় ছড়িয়ে পড়া বাতাসের পরিমাণ এবং হার
2. ভিন্ন ভেন্টিলেশন পদ্ধতিতে কী ভাবে বদ্ধ জায়গায় হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে
3. কথা বলার সময় কী ভাবে এরোসল বের হচ্ছে
রিম জানান, একটা চমকপ্রদ ফল পাওয়া গিয়েছে ৷ অফিসের তুলনায় বাড়ির পরিবেশে করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ৷ তবে বাড়িতে ফ্যান, এয়ার ক্লিনার চালিয়ে এই সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো যায় ৷
