হায়দরাবাদ, 15 সেপ্টেম্বর : খাওয়াদাওয়ার বদ অভ্যাস মানুষের মনকে প্রভাবিত করে, তার ভাল থাকাকেও, এমনকি এর প্রভাব পড়ে প্রজনন (fertility) ক্ষমতার উপরেও ৷
তাহলে কি পুষ্টি আর প্রজনন ক্ষমতার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে ?
পুষ্টি আর প্রজননের মধ্যে একটা যোগাযোগ রয়েছে ৷ ডায়েট, ওজন, ধূমপান এবং মদ্যপান প্রজননের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে ৷ হরমোনাল ভারসাম্য (hormonal imbalance) নষ্ট করতে পারে ৷ তাই খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে যত্নশীল হওয়া উচিত, বিশেষত যদি কেউ গর্ভধারণের পরিকল্পনা করে ৷ ফলিক অ্যাসিড (folic acid), আয়রন (iron), প্রোটিন (protein) এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার ৷
সন্তান ধারণ করতে গেলে বা গর্ভাবস্থায় কোনটা খাবেন আর কোনটা খাবেন না :
1. শরীরে আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়া (anaemia) হতে পারে ৷ শরীরে প্রয়োজনমতো আয়রন থাকলে, তা শিশুর শরীরে অক্সিজেন পাঠাতে পারে ৷ শুকনো বিন, কিশমিশ (raisins), খুবানি (apricots), পালংশাক (spinach), মসুর ডাল (lentils), মটর (peas) খাওয়া যায় ৷ এর সঙ্গে কুমড়ো (pumpkin), টম্যাটো (tomatoes), বিট (beetroot) খাওয়া যাবে ৷
আরও পড়ুন : Vitamin E : শরীর সুস্থ রাখতে আর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন-ই
2. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন টোফু, পনির, মসুর ডাল ৷ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড (Omega-3 fatty acids) শরীরের উন্নতি করতে পারে ৷ কফি জাতীয় পানীয় খুব বেশি খাবেন না যেন !
3. ফলিক অ্যাসিড অবশ্য প্রয়োজনীয় ৷ সবুজ শাকসবজি, কমলালেবুর রস, বিন, মটর, মসুর ডাল এবং বাদাম জাতীয় খাবারে ফলিক অ্যাসিড থাকে প্রচুর পরিমাণে ৷ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও সাপ্লিমেন্ট জাতীয় খাবার খাবেন না ৷
4. প্রতিদিন সোডা বা অন্য এনার্জি ড্রিঙ্ক জাতীয় পানীয় খাওয়া উচিত নয় ৷
5. প্রসেসড খাবার, ক্যানে থাকা খাবার একদম নয় ৷
6. ট্রান্স ফ্যাট (trans fat) আর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট (monounsaturated fat) রয়েছে এমন খাবার কম খাওয়া উচিত ৷ খুব বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকা খাবার এড়িয়ে যাওয়ায়ই ভাল ৷
7. তাজা ফল, শাকসবজি, শস্যদানা খাওয়া দরকার ৷