হায়দরাবাদ: ত্বকের যত্ন সকলেই নেন ৷ মুখমণ্ডলের পাশাপাশি যত্ন নেওয়া হয় হাত ও পায়ের ৷ তবে বাদ পড়ে যায় শরীরের বাকি অংশগুলি ৷ দীর্ঘদিন রোদে পুড়ে বা অযত্নে ঘাড়, পিঠে কালো দাগ পড়ে যায় ৷ যা দেখতে বিশ্রীও লাগে ৷ তবে শুধু সৌন্দর্য নষ্ট হয় না, পাশাপাশি ক্ষতি হয় ত্বকেরও ৷ শরীরে বাদ পড়ে যাওয়া সেই সব অংশের যত্ন নিন ঘরোয়া কিছু টোটকায় ৷
ঘাড়ের যত্ন: শরীর যত্নের তালিকা থেকে যে ঘাড় সবার আগে বাদ যায়, তা এক বাক্যে অনেকেই স্বীকার করবেন ৷ ফলে এই অংশে ধীরে ধীরে কালো ছোপ পড়তে শুরু করে ৷ প্রতিদিন বেসন ও লেবুর রস মিশিয়ে ঘাড়ে অন্তত 15 থেকে 20 মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে ৷ নিয়মিত বেসন ও লেবুর রস ব্যবহার করলে ঘাড়ের কালো ছোপ আস্তে আস্তে উধাও হয়ে যাবে ৷ বেসন, লেবুর সঙ্গে অতিরিক্ত টক দইও ব্যবহার করতে পারেন ৷ দই, ত্বক ময়শ্চাইরাইজ করতে সাহায্য করে ৷
পিঠের যত্ন: যে দিকে হাত পৌঁছয় না, সেটিকে যত্ন কীভাবে নেওয়া যায়? যে কারণে পিঠের যত্ন তথৈ ব চ ৷ পিঠে কালো দাগ বা ব্রণ-র সমস্যা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ৷ প্রতিদিন স্নান করার সময় হাতলওয়ালা স্ক্রাবার দিয়ে পিঠ ঘষুন ৷ এছাড়া গোলাপজলের সঙ্গে আধা চামচ মুলতানি মাটি, এক চামচ লবঙ্গগুঁড়া ও এক চামচ দারুচিনিগুঁড়া মিশিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে ফেলুন ৷ সপ্তাহে বেশ কয়েকদিন প্যাকটি ব্যবহার করুন ৷ উপকার পাবেন ৷
বাহুমূল
বাহুমূলের ত্বক ভীষণ পাতলা ও সংবেদনশীল হয়ে থাকে ৷ তাই শরীরের এই অংশের যত্ন অবশ্যই নেওয়া উচিত ৷ এই স্থানে কালো দাগ দূর করতে আলুর রস ও গাজরের রসের সঙ্গে মসুরির ডাল বাটা মিশিয়ে প্রতিদিন স্নানের সময় ব্যবহার করুন ৷ ফল পাবেন হাতে নাতে ৷
কনুই ও হাঁটু-র যত্ন: লেবুর রসে চিনি মিশিয়ে কনুই ও হাঁটুতে ব্যবহার করুন ৷ 10 মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন ৷ সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন করলে তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন ৷ এছাড়াও কালো ছোপ তুলতে টমেটোর প্যাক ব্যবহার করতে পারেন ৷
আরও পড়ুন: এই রঙের পোশাকে বর্ষায় নিজেকে রাখুন ট্রেন্ডি ও স্টাইলিশ
পায়ে গোড়ালির যত্ন: খসখসে পায়ের তলা, জৌলুসহীন পায়ের যত্ন নিতে ব্যবহার করতে পারেন মধু ৷ হালকা গরম জলে পা ধুয়ে গোড়ালিতে মধু লাগিয়ে রাখুন ৷ উপকার পাবেন ৷ এছাড়াও বাড়িতে বানাতে পারেন স্ক্রাব ৷ কফির গুঁড়ো, নারকেল তেল, মোটা দানার চিনি মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন ৷ এরপর ধীরে ধীরে গোড়ালিতে ও পায়ের উপরিভাগে মাখিয়ে মালিশ করুন ৷ শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন ৷
(প্রতিবেদনটি তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা ৷ বিস্তারিত জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷)