হায়দরাবাদ: আমাদের দিনের একটা বড় অংশ কেটে যায় ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। আমরা মাথা নিচু করে অনেক ঘণ্টা কাজ করি । বেশিক্ষণ বসে থাকার কারণে আমরা আমাদের বসার ভঙ্গিতেও মনোযোগ দি না । এই সব কারণে আমাদের ঘাড় ব্যথার সমস্যা হতে পারে । যদি ঘাড়ের ব্যথা দ্রুত নিরাময় না করা হয় তবে এটি আপনার জন্য সমস্যায় পরিণত হতে পারে । জেনে নিন, কীভাবে আমরা ঘাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারি ।
ঘাড় ব্যথার কারণ কী হতে পারে ?
খারাপ ভঙ্গি: ভুলভাবে বসে থাকা ঘাড় ব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে । প্রায়শই কাজ করার সময় বা টিভি দেখার সময় আমাদের ঘাড় বাঁকিয়ে রাখি বা এক অবস্থানে রাখি । যার কারণে আমাদের ঘাড়ের পেশী শক্ত হয়ে যায় এবং ঘাড় ব্যথা শুরু হয় ।
চাপ: আমাদের লাইফস্টাইল এমন হয়ে গিয়েছে যে স্ট্রেস এড়ানো খুব কঠিন । মানসিক চাপের কারণে আমরা প্রায়ই ঘাড় বা কাঁধ শক্ত করে বসে থাকি । এই কারণে ঘাড় ব্যথা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা । মানসিক চাপের কারণে আমাদের ঘাড়ের পেশী শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা শুরু হয় ।
আঘাত: ঘাড়ে আঘাতের কারণেও ব্যথা হতে পারে । পড়ে যাওয়া বা হঠাৎ ধাক্কা লাগার কারণেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে । হাঁটা বা গাড়ি চালানোর সময় সাধারণত ঘাড়ে ঝাঁকুনি হয়, যা ব্যথার কারণ হতে পারে ।
ভুল অবস্থানে ঘুমানো: ভুল অবস্থানে ঘুমালেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে । অনেক সময় ঘুমানোর সময় আমরা বুঝতে পারি না যে ঘাড় বাঁকিয়ে ঘুমিয়ে আছি । এই কারণে ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে ।
রোগের লক্ষণ: ঘাড় ব্যথা অনেক সময় কোনও রোগের কারণে হতে পারে । ঘাড় বা মাথার ক্যানসার, মেনিনজাইটিস, স্ট্রোক ইত্যাদি কারণেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে । তাই ঘাড়ের ব্যথা দ্রুত ভালো না হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ।
কীভাবে ঘাড় ব্যথা প্রতিরোধ করবেন ?
ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম আপনার পেশীর শক্ততা কমায় । তাই প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করুন । ব্যায়ামের মধ্যে স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করুন যাতে আপনার ঘাড়ের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায় এবং এটি ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয় ।
বিরতি নেওয়া: কাজের সময় যদি দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়, তাহলে ছোট বিরতি নিন । বিরতির সময় ধীরে ধীরে ঘাড় ঘুরিয়ে প্রসারিত করার চেষ্টা করুন, এতে শক্ততা কমে যাবে ।
শরীরের ভঙ্গি উন্নত: শরীরের ভঙ্গি ঠিক রাখুন । কাঁধ ও ঘাড় বেঁকিয়ে হাঁটবেন না । বসা এবং হাঁটার সময় আপনার কাঁধ সোজা রাখুন । আপনার ঘাড় সোজা করে হাঁটুন এবং আপনার শরীরকে খুব শক্ত রাখবেন না ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)