হায়দরাবাদ, 21 অগস্ট: অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাচ্চাদের স্মার্টফোনে হাতেখড়ি হয় তার অভিভাবকদের হাতেই। কিন্তু চাইলে অভিভাবকরাই পারেন সন্তানকে মোবাইলের আসক্তি থেকে বের করে অন্য জগতে তাদের ভুলিয়ে রাখতে। সাধারণত বাবা-মা যা করবেন সেটা দেখেই শিশু শিখবে। এই আসক্তির পিছনে তাঁদের ভূমিকাও কম নয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বেশিরভাগ অভিভাবক (43 শতাংশ) স্মার্টফোন ছাড়া শিশুদের যে মানুষ করা যায় তা তাঁদের 'কোনও ধারণা নেই' ৷
ফোন কোম্পানি থ্রি ইউকে-র সহযোগিতায় ওয়ানপোল ডট কম-এর সমীক্ষা অনুসারে, বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানদের বড় করার ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এই গবেষণায় 1000 জন 6 বছর বা তার কম বয়সি শিশুদের নিয়ে একটি তথ্য সংগ্রহ করা হয় ৷ তাতে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় 61 শতাংশ বলেছেন যে স্মার্টফোনগুলি বাবা মায়ের এমন এক জিনিস যা শিশুদের হাতে দিয়ে দিলেই কোনও না-কোনও বায়না থেকে বের করে আনা যায় ৷ সন্তানকে সময় না-দিয়ে তার বদলে হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেওয়াটা যেন অভিভাবকের একটা অভ্যাস ৷ একবার ধরিয়ে দিলাম তো ব্যস ঝুক্কি শেষ ৷
থ্রি ইউকে-এর মার্কেটিং ডিরেক্টর আইসলিন ওকনর গবেষণা নিয়ে বলছেন, "আমরা জানি ফোন মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সন্তান হওয়ার পর ফোন যেন বাবা মায়ের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ৷ তাছাড়া, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, স্মার্টফোনের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে ডেটা খরচ বেড়েছে। ফোন ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে, প্রায় 34 শতাংশ অভিভাবক তাঁদের ডেটা প্ল্যান আপগ্রেড করার কথা জানিয়েছেন। অভিভাবকরা তাঁদের মাসিক ডেটা সীমা গড়ে পাঁচ গিগাবাইট বাড়িয়ে ফেলেছেন। 'সন্তানদের জন্য বিনোদন' এই বিষয়টি ডেটা ব্যবহারের বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।"
গবেষণা অনুসারে, বিনোদন ছাড়াও, অভিভাবকরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে তাঁদের স্মার্টফোন ব্যবহার করেন ৷ প্রায় 67 শতাংশ অভিভাবক তাঁদের ফোন ব্যবহার করেন ছবি তোলার জন্য ৷ 62 শতাংশ হোয়াটসঅ্যাপে মজে থাকেন ৷ 60 শতাংশ তাঁদের ফোন ব্যবহার করেন আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখতে ৷
আরও পড়ুন: বর্ষায় বাড়ে জলবাহিত রোগ, নির্মূল করতে মেনে চলুন এই উপায়...