ETV Bharat / sukhibhava

সরু কোমর এবং নির্মেদ পেট আয়ুর্বেদের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব

পেটের অবাঞ্ছিত মেদ বড় ধরনের ঝুঁকি সাব্যস্ত হতে পারে যা অগুনতি রোগব্যধির উদ্ভব ঘটাতে পারে । পেটের চারপাশে মেদ জমিয়ে ফেলা খুবই সহজ কিন্তু তা কমানো খুবই কঠিন । ডা. পি বি রঙ্গানায়াকুলু আমাদের আয়ুর্বেদিক রেমেডির মাধ্যমে পেটের মেদ কমানোর পদ্ধতি এবং কোমরের পরিসর হ্রাস করার উপায়ের কথা জানিয়েছেন ।

সরু কোমর এবং নির্মেদ পেট আয়ুর্বেদের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব
সরু কোমর এবং নির্মেদ পেট আয়ুর্বেদের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব
author img

By

Published : Mar 26, 2021, 1:10 PM IST

কোমরের পরিসরের পরিমাপ আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের পূর্বাভাস দেয় । সরু কোমর থাকাটা কেবল দেখতে সুন্দর নয় বরং তা শরীর সুস্থ এবং স্বাস্থ্যবান থাকারও পরিচায়ক । ফ্লেক্সিবল একটি মেজারিং টেপ নিন এবং পশ্চাৎদেশের হাড়ের ঠিক উপরে তাকে আনুভূমিকভাবে রেখে পরিমাপ করুন । মহিলাদের ক্ষেত্রে ওয়েস্টলাইন ৩২ ইঞ্চি কিংবা ৮০ সেন্টিমিটারের কম হওয়া বাঞ্ছনীয় আর পুরুষদের ক্ষেত্রে তা ৩৭ ইঞ্চি কিংবা ৯৪ সেন্টিমিটারের বেশি হওয়া উচিত নয় । যদিও বডি মাস ইন্ডেক্স সীমার মধ্যেই থাকা উচিত । কিন্তু যদি বিএমআই বেশি থাকে আর ওয়েস্টলাইন চড়া থাকে, তাহলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে ।

ভিসেরাল ফ্যাট বনাম সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাট : পেটের অবাঞ্ছিত ফ্যাট আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার জন্য অত্যন্ত অসুবিধাজনক । এই ধরনের ফ্যাটের দু’টি প্রকার আছে । ভিসেরাল ফ্যাট এবং সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাট । বেশ কিছু সময় ধরে, খাদ্যজনিত বদঅভ্যাস এবং শরীরচর্চার অভাবে পেটের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন কিডনি, অন্ত্র প্রভৃতির চারপাশে স্নেহপদার্থ সঞ্চিত হয় । ত্বকের নিচেও ফ্যাট সঞ্চিত হয় । গবেষকরা খতিয়ে দেখেছেন যে ভিসেরাল ফ্যাট প্রভূত পরিমাণে FGF2 (ফাইব্রোব্লাস্ট গ্রোথ ফ্যাক্টর-২) উৎপাদন করে ত্বকের নিচে ফ্যাটের (সাবকিউটেনিয়াস) তুলনায় । এই কারণের জেরে স্তন, কোলন এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্যানসার হতে পারে । ভিসেরাল ফ্যাট থেকে RBP4-ও (রেটিনল বাইন্ডিং প্রোটিন-৪) ক্ষরিত হয়, যা ইনসুলিনের কাজকে বাধা দেয় এবং তার ফলে টাইপ-টু ডায়াবিটিস হতে পারে । ভিসেরাল ফ্যাট উচ্চ রক্তচাপের জন্যও দায়ী ।

সাধারণত, শরীরে মোট ফ্যাট সঞ্চয়ের ১০ শতাংশই হল ভিসেরাল ফ্যাট । এর থেকে যা বেশি থাকে, তা-ই বিপজ্জনক । সুতরাং, উচিত হল পেটের ফ্যাটকে সীমিত রাখা একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন মেনে চলার মাধ্যমে । জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত অ্যালকোহল, শরীরচর্চার অভাব, মানসিক চাপ প্রভৃতিই পেটের ফ্যাট জমতে সাহায্য করে । মিষ্টিজাতীয় পানীয় বেশি খাওয়া, হঠাৎ করে অনেকটা বেশি খেয়ে ফেলা, গাড়ি চালানোয় বেশি সময় ব্যয় করা, দিনের বেলায় ঘুমোনো এবং অলস জীবনযাত্রার ধরন প্রভৃতিই এই কুঅভ্যাসের জন্য দায়ী । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর থেকে হতে পারে অ্যাস্থমা, অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়া এবং অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা ।

আরও পড়ুন : আঙুল ঝনঝন করার সমস্যা হাতের গুরুতর সংকট ডেকে আনতে পারে

পেটের ফ্যাটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে, প্রোটিনের হার বাড়িয়ে দিন ।

শরীরচর্চার হার বৃদ্ধি করুন ।

অ্যালকোহলের মাপ নিয়ন্ত্রণ করুন ।

মাঝে মাঝে উপোস করুন ।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন ।

তৈলাক্ত খাবারদাবার বর্জন করুন ।

আয়ুর্বেদিক, গাছ-গাছড়া থেকে তৈরি উপাদান যেমন গুগ্গুলু, ত্রিফলা এবং রসুন সেবন করুন ।

কোমর সরু, নির্মেদ করতে এই টিপস মেনে চলুন

রোজ ১০০ এমএল ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে ১৫ গ্রাম মধু মিশিয়ে সেবন করুন ।

ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে ২ গ্রাম ‘ফলস পেপার’ গুঁড়ো (বিদাঙ্গ) মিশিয়ে সেবন করুন ।

দিনে দু’বার অম্রুথাদি গুগ্লুলু এক টেবিলচামচ করে গ্রহণ করুন ।

দিনে দু’বার নাভক গুগ্গুলু এক টেবিলচামচ করে গ্রহণ করুন ।

ত্রিফলা গুগ্গুলু এক টেবিলচামচ করে দিনে দু’বার নিন ।

পুরনো চালের ভাত আর বার্লি খান ।

বাটার-মিল্ক প্রায়ই সেবন করুন ।

ধীরে ধীরে কয়েক মাসের সময় ধরে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনুন ।

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পেটের মেদ কমানোর চেষ্টা করবেন না । একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করে, এক বা দু’বছর সময়ের মধ্যে ফ্যাট থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুন ।

কোমরের পরিসরের পরিমাপ আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের পূর্বাভাস দেয় । সরু কোমর থাকাটা কেবল দেখতে সুন্দর নয় বরং তা শরীর সুস্থ এবং স্বাস্থ্যবান থাকারও পরিচায়ক । ফ্লেক্সিবল একটি মেজারিং টেপ নিন এবং পশ্চাৎদেশের হাড়ের ঠিক উপরে তাকে আনুভূমিকভাবে রেখে পরিমাপ করুন । মহিলাদের ক্ষেত্রে ওয়েস্টলাইন ৩২ ইঞ্চি কিংবা ৮০ সেন্টিমিটারের কম হওয়া বাঞ্ছনীয় আর পুরুষদের ক্ষেত্রে তা ৩৭ ইঞ্চি কিংবা ৯৪ সেন্টিমিটারের বেশি হওয়া উচিত নয় । যদিও বডি মাস ইন্ডেক্স সীমার মধ্যেই থাকা উচিত । কিন্তু যদি বিএমআই বেশি থাকে আর ওয়েস্টলাইন চড়া থাকে, তাহলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে ।

ভিসেরাল ফ্যাট বনাম সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাট : পেটের অবাঞ্ছিত ফ্যাট আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার জন্য অত্যন্ত অসুবিধাজনক । এই ধরনের ফ্যাটের দু’টি প্রকার আছে । ভিসেরাল ফ্যাট এবং সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাট । বেশ কিছু সময় ধরে, খাদ্যজনিত বদঅভ্যাস এবং শরীরচর্চার অভাবে পেটের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন কিডনি, অন্ত্র প্রভৃতির চারপাশে স্নেহপদার্থ সঞ্চিত হয় । ত্বকের নিচেও ফ্যাট সঞ্চিত হয় । গবেষকরা খতিয়ে দেখেছেন যে ভিসেরাল ফ্যাট প্রভূত পরিমাণে FGF2 (ফাইব্রোব্লাস্ট গ্রোথ ফ্যাক্টর-২) উৎপাদন করে ত্বকের নিচে ফ্যাটের (সাবকিউটেনিয়াস) তুলনায় । এই কারণের জেরে স্তন, কোলন এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্যানসার হতে পারে । ভিসেরাল ফ্যাট থেকে RBP4-ও (রেটিনল বাইন্ডিং প্রোটিন-৪) ক্ষরিত হয়, যা ইনসুলিনের কাজকে বাধা দেয় এবং তার ফলে টাইপ-টু ডায়াবিটিস হতে পারে । ভিসেরাল ফ্যাট উচ্চ রক্তচাপের জন্যও দায়ী ।

সাধারণত, শরীরে মোট ফ্যাট সঞ্চয়ের ১০ শতাংশই হল ভিসেরাল ফ্যাট । এর থেকে যা বেশি থাকে, তা-ই বিপজ্জনক । সুতরাং, উচিত হল পেটের ফ্যাটকে সীমিত রাখা একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন মেনে চলার মাধ্যমে । জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত অ্যালকোহল, শরীরচর্চার অভাব, মানসিক চাপ প্রভৃতিই পেটের ফ্যাট জমতে সাহায্য করে । মিষ্টিজাতীয় পানীয় বেশি খাওয়া, হঠাৎ করে অনেকটা বেশি খেয়ে ফেলা, গাড়ি চালানোয় বেশি সময় ব্যয় করা, দিনের বেলায় ঘুমোনো এবং অলস জীবনযাত্রার ধরন প্রভৃতিই এই কুঅভ্যাসের জন্য দায়ী । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর থেকে হতে পারে অ্যাস্থমা, অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়া এবং অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা ।

আরও পড়ুন : আঙুল ঝনঝন করার সমস্যা হাতের গুরুতর সংকট ডেকে আনতে পারে

পেটের ফ্যাটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে, প্রোটিনের হার বাড়িয়ে দিন ।

শরীরচর্চার হার বৃদ্ধি করুন ।

অ্যালকোহলের মাপ নিয়ন্ত্রণ করুন ।

মাঝে মাঝে উপোস করুন ।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন ।

তৈলাক্ত খাবারদাবার বর্জন করুন ।

আয়ুর্বেদিক, গাছ-গাছড়া থেকে তৈরি উপাদান যেমন গুগ্গুলু, ত্রিফলা এবং রসুন সেবন করুন ।

কোমর সরু, নির্মেদ করতে এই টিপস মেনে চলুন

রোজ ১০০ এমএল ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে ১৫ গ্রাম মধু মিশিয়ে সেবন করুন ।

ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে ২ গ্রাম ‘ফলস পেপার’ গুঁড়ো (বিদাঙ্গ) মিশিয়ে সেবন করুন ।

দিনে দু’বার অম্রুথাদি গুগ্লুলু এক টেবিলচামচ করে গ্রহণ করুন ।

দিনে দু’বার নাভক গুগ্গুলু এক টেবিলচামচ করে গ্রহণ করুন ।

ত্রিফলা গুগ্গুলু এক টেবিলচামচ করে দিনে দু’বার নিন ।

পুরনো চালের ভাত আর বার্লি খান ।

বাটার-মিল্ক প্রায়ই সেবন করুন ।

ধীরে ধীরে কয়েক মাসের সময় ধরে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনুন ।

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পেটের মেদ কমানোর চেষ্টা করবেন না । একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করে, এক বা দু’বছর সময়ের মধ্যে ফ্যাট থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.