হায়দরাবাদ: মুলো খেলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । আপনি যদি লিভারের রোগ যেমন ফ্যাটি লিভার, জন্ডিস বা টাইফয়েডের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে মুলা এই সমস্যাগুলির জন্য একটি প্রতিষেধক । এতে প্রাকৃতিক যৌগ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে । মুলো খেলে শরীর ডিটক্সিফাই করে। যার ফলে আপনি অনেক ধরনের রোগ এড়াতে পারবেন। এমন পরিস্থিতিতে জেনে নিন, কীভাবে মুলো লিভারের জন্য উপকারী (Radish for Health) ।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস:
মুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের একটি ভালো উৎস, এতে ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় । আপনি খাদ্যতালিকায় মূলার রস, স্যুপ বা ঝোল যোগ করতে পারেন । এটি লিভারের কোষকে রক্ষা করে ।
শরীরকে ডিটক্স করে: মুলোর মধ্যে রয়েছে গ্লুকোসিনোলেটের মতো যৌগ ৷ যা লিভার পরিষ্কার করতে সহায়ক । মুলো খেলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় । যার ফলে আপনি অনেক ধরনের রোগ এড়াতে পারবেন ।
হাইড্রেশন: মুলোয় প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে ৷ যার কারণে এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে । লিভার পরিষ্কার রাখতে হলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল থাকতে হবে ।
কম ক্যালোরি: মুলোর ক্যালোরির পরিমাণ কম । যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাদ্যতালিকায় মুলো অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন । এটি লিভারকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ।
ভিটামিন সমৃদ্ধ: মুলো ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজগুলির মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ । এই পুষ্টি উপাদানগুলি লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।
মুলো খাওয়ার সঠিক সময়:
পেট ব্যথা এবং গ্যাস এড়াতে জেনে নিন খালি পেটে বা রাতের খাবারে কখনওই মুলো খাওয়া উচিত নয় । সঠিক কথা হল খাবারের সঙ্গে মুলো খাওয়া উচিত নয় । রান্না করা খাবারের সঙ্গে স্যালাড আকারে কাঁচা সবজি খাওয়া ঠিক নয় । এতে পাচনতন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে ৷ সেই সঙ্গে খাবার হজম করাও কঠিন হয়ে পড়ে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)