হায়দরাবাদ: গাজর একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি । গাজর বিভিন্ন তরকারিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে । এছাড়াও স্যালাড হিসেবে গাজর তো থাকেই । কিংবা গরম গরম স্যুপেও দেওয়া হয় গাজর। গাজর আমাদের চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে, কোলেস্টরলকে দূরে রাখে, হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে (Benefits Of Carrot)।
এতে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। গাজরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন কে, ইত্যাদি । এগুলি ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে ভীষণ সাহায্য করে থাকে । আমরা নানান ভাবে এই সবজিটাকে খেয়ে থাকি । এই যেমন আগেই বললাম তরকারি, স্যুপ, হালুয়া, ইত্যাদি । গাজরের হালুয়া তো একটি বিখ্যাত মিষ্টি পদ যা অনেকেরই পছন্দের । গাজের রস থেকে কাঁচা গাজর সবটাই শরীরের জন্য উপকারী ৷
1) কাঁচা গাজর খেলে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে । এতে থাকা উপকারী উপাদান শরীরে ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্য বজায় রাখে । হঠাৎ হঠাৎ মেজাজ পরিবর্তনের সমস্যা প্রতিরোধ করে ।
2) প্রতিদিন গাজরের রস খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা । কারণ এটি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে । যদি কেউ ব্রণ কিংবা অ্যাকনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য খুবই উপকারী গাজরের রস ।
3) প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে কাঁচা গাজরে । গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার রয়েছে । যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস । যা শরীরকে দূষণ মুক্ত করে । গাজরে ভিটামিন A থাকে । ভিটামিন A-এর অভাব জেরোফথালমিয়া হতে পারে । যা চোখের একটি রোগ । গাজর খেলে এই সম্ভাবনা কমে ।
4) গর্ভাবস্থায়ও খেতে পারেন গাজর । এই সময় গাজরের রস পান খুবই উপকার । এতে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয় না । যেসব মা শিশুকে দুধপান করান, তাদের নিয়মিত গাজরের রস পান করা উচিত ।
5) গাজর হজম ক্ষমতা বাড়ায় । এটি খেলে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, বদহজম নিরাময় হয় । লিভারের রোগে আক্রান্ত রোগী গাজরের রস বা স্যুপ পান করলে উপকার পাবেন ।
6) কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গাজরের জুস ভীষণভাবে সাহায্য করে । গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়ামই এর মূল কারণ । গাজরে ক্যালরি এবং সুগারের উপাদান খুবই কম ৷
আরও পড়ুন: বাঁধাকপির বহুগুণ ! জেনে নিন এর উপকারিতা