হায়দরাবাদ: উৎসবের আনন্দ, উদযাপন এবং খাবার উপভোগ করার সময়, তবে অত্যধিক মিষ্টি, ভাজা, মশলাদার খাবার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন উপায়ে ক্ষতি করতে পারে । পেট খারাপের পাশাপাশি ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, বমির মতো সমস্যা হতে পারে । এছাড়া ভাজা খাবার ওজন ও কোলেস্টেরল বাড়ায় । অর্থাৎ উৎসবগুলিকে উপভোগ করতে চাইলে খাবারের ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকা দরকার । উৎসবের মরশুমেও আপনি কীভাবে ফিট এবং ভালো থাকতে পারেন তা আমাদের জানান ।
1) একটি খাদ্য পরিকল্পনা করুন: উৎসবের সময় সুস্থ থাকার প্রথম সূত্র হল আপনি কী খান এবং পান করবেন সে সম্পর্কে একটু পরিকল্পনা করা । খাবারকে তিন থেকে চার ভাগে ভাগ করুন । ব্রেকফাস্টে মিষ্টি ও ভাজা খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। সকালের নাস্তায় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জিনিস থাকা উচিত। আপনার লাঞ্চ প্লেটে পুরো শস্য, ফল এবং সবজি যোগ করুন । যদি সন্ধ্যায় বেশি খাবার খেয়ে থাকেন তবে আপনি রাতের খাবার এড়িয়ে যেতে পারেন ।
2) নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন: শীত শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ এমন পরিস্থিতিতে আপনি গ্রীষ্মে যতটা তৃষ্ণার্ত নাও অনুভব করতে পারেন তবে জলের মাধ্যমে খুব সহজেই শরীরকে বিনা পরিশ্রমে ডিটক্সিফাই করা যায় এবং হাইড্রেটেডও রাখা যায় । তাই এই মরশুমে প্রচুর জল পান করুন । এটি খিদে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে ।
3) খাবারের মধ্যে বাজরা যোগ করুন: দীপাবলির সময় তৈরি খাবারে বাজরা ব্যবহার করুন। বাজরা অনেক ধরনের পুষ্টিতে ভরপুর, যা খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, চিনি, কোলেস্টেরলের মতো বহু সমস্যা দূরে থাকে । এ ছাড়া অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে ৷ তাই বাজরা এই সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় । আজকাল পুরি, সবজি এমনকি মিষ্টিতেও বাজরা ব্যবহার করা হচ্ছে । যা আপনার খাবারকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে ।
4) সক্রিয় থাকা জরুরি: উৎসবের মরশুমেও ব্যায়ামের জন্য কিছু সময় বের করতে ভুলবেন না । আপনার নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ মিস করবেন না । অল্প সময়ের জন্য হলেও হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম করুন । ব্যায়াম অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করবে ।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীরাও দীপাবলিতে মিষ্টি খেতে পারেন ! কী খাবেন জেনে নিন
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)