হায়দরাবাদ: সুস্থ অন্ত্র থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । অন্ত্রের স্বাস্থ্য বলতে আমাদের পাচনতন্ত্রে বসবাসকারী অণুজীবের ভারসাম্য বোঝায় । আমাদের পেটে পাওয়া ব্যাকটেরিয়াকে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম বলা হয় । এই অণুজীবের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য ।
জীবনযাত্রার অবনতির কারণে আজকাল মানুষ প্রায়ই পাকস্থলী এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যার শিকার হয় । এমন পরিস্থিতিতে এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পেতে আপনি কিছু পানীয় দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন যা হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করবে । জেনে নিন, সেই পানীয়গুলি সম্পর্কে যা আপনার সকালের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ৷
আদা চা: অনেকেরই দিন শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে । আপনার যদি চা প্রিয় হয় তাহলে প্রতিদিনের চায়ে আদা দিতে পারেন । আদার মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং হজমকারী বৈশিষ্ট্যগুলি গ্যাস যা ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে ।
হালকা গরম লেবু জল: লেবু হজমের জন্যও খুব ভালো বিকল্প । এমন পরিস্থিতিতে, পেট ফোলা, গ্যাস ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে লেবু জল দিয়ে আপনার দিন শুরু করতে পারেন । এ জন্য হালকা গরম জলে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন । লেবুর জল হজমকে উদ্দীপিত করতে পারে ৷ অন্ত্রে পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে এবং ভিটামিন সি বাড়াতে পারে ।
জল এবং আপেল সিডার ভিনিগার: হজমের উন্নতির জন্য আপনি সকালে জল এবং আপেল সিডার ভিনিগার পান করতে পারেন । এক গ্লাস জলে এক থেকে দুই চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন । এটি হজমের উন্নতিতে, পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে ।
মৌরি ভেজানো জল: মৌরিতে কারমিনেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গ্যাস এবং পেট ফোলা কমাতে খুবই কার্যকরী । এমন পরিস্থিতিতে মৌরি জলে ভিজিয়ে সকালে পান করতে পারেন ।
অ্যালোভেরার রস: অ্যালোভেরার রস যা ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী ৷ পাচনতন্ত্রের জন্যও এটি কার্যকরী । এটি পাচনতন্ত্রকে শিথিল করার জন্য এবং নিয়মিত মলত্যাগের জন্য উপকারী হতে পারে । এটি অল্প পরিমাণে পান করলে উপকার পাওয়া যায় ।
আরও পড়ুন: ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হার্টের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে, জেনে নিন বিশদে
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)