হায়দরাবাদ: বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে । এই রোগের প্রধান কারণ পরিবর্তনশীল জীবনধারা এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস । এই রোগে কিডনি, চোখ, লিভার, হার্ট-সহ অনেক অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে । ডায়াবেটিসের কোনও নিরাময় নেই ৷ তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তন করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক করা যায় । ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্রেকফাস্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । যদি ডায়াবেটিশের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ব্রেকফাস্টে এই জিনিসগুলি রাখুন ।
পালং শাকের চাট: পালং শাকের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে । এটি খেলে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় । পালং শাকের চাট হতে পারে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এটি ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন । খুব সহজে ঘরে তৈরি করতে পারেন সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে ।
মুসুর ডাল চিল্লা: ভারতীয় খাবারে চিল্লা খুবই জনপ্রিয় । মুসুর ডাল চিল্লা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে । এই মুসুর ডালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক । এছাড়া এই ডাল প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ । এই ডালের একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং দ্রবণ তৈরি করুন, এতে ছোট করে কাটা ক্যাপসিকাম, টমেটো, পেঁয়াজ এবং লবণ দিন ৷ কম তেলে এই চিল্লা তৈরি করুন ।
বাদাম: বাদাম হল পুষ্টির ভাণ্ডার । এটি অসম্পৃক্ত চর্বি, ক্যালসিয়াম এবং অনেক ভিটামিন সমৃদ্ধ । আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, তাহলে ব্রেকফাস্টে বাদাম খাওয়া আপনার জন্য উপকারী হতে পারে ।
গ্রিলড পনির: পনির ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয়, তবে গ্রিলড পনির ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভালো বিকল্প । এটিতে কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে এবং কার্বোহাইড্রেটও কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ।
ইডলি: ইডলি একটি খুব হালকা এবং স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট । ওজন কমানোর ডায়েটে ইডলি অন্তর্ভুক্ত করারও পরামর্শ দেওয়া হয় । বাজরা, রাগি বা জোয়ারের আটা দিয়ে তৈরি ইডলি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য পুষ্টিকর ।
ভেলপুরি: সুস্বাদু ভেলপুরি খেতে কার না ভালো লাগবে ? সুগারের রোগীরাও এই খাবারের স্বাদ নিতে পারেন । ঘরে বসেই তৈরি করতে পারবেন কম সময়ে । ভেলপুরি তৈরি করা হয় পাফ করা চাল, পেঁয়াজ, টমেটো, পাপড়ি, ছোলার ডাল, ধনে পাতা ইত্যাদি দিয়ে ।
আরও পড়ুন: ডিমের সঙ্গে এই খাবারগুলি এড়িয়ে না-গেলে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)