হায়দরাবাদ: হাঁটতে চলতে গেলে বা কোনও কাজ করতে হাতে-পায়ে কাটা-ছেঁড়া নতুন কোনও বিষয় নয় ৷ কেটে যাওয়া সেই জায়গা অনেক সময় শুকোতে দেরি হয় ৷ তার সঙ্গে থাকে ব্যথাও ৷ কিন্তু ছোট খাটো এই কেটে যাওয়াকে অনেকে বেশিরভাগ সময় অতটা গুরুত্ব দেন না ৷ হাতের কাছে থাকা বিশেষ কিছু জিনিস দিয়ে প্রাথমিকভাবে এই ক্ষত নিরাময় সম্ভব ৷
হলুদ- ছোটবেলা থেকে মা-ঠাকুমাদের মুখে শোনা গিয়েছে, ক্ষত জায়গায় হলুদ দিলে তা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় ৷ মলিকুলার অ্যান্ড সেলুলার বায়োকেমিস্ট্রি জার্নাল অনুসারে এই কথা সত্যি ৷ হলুদের কারকিউমিন, কোলাজেন নিয়ন্ত্রণ করে৷ যার ফলে তা ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে। ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত হলে হলুদ লাগালে তা দ্রুত বন্ধ হয়ে যায় ৷ রক্তপাত অবিলম্বে বন্ধ হবে। এছাড়া প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে উষ্ণ গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায় ৷
অ্যালোভেরা- ক্ষত স্থানে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ব্যথা কমে ৷ এছাড়া ত্বকের জ্বালা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে৷ অ্যালোভেরার জেলে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা ব্যথা কমাতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কোথাও ছোঁড়ে বা কেটে গেলে সেই স্থান পরিষ্কার করে নিয়ে তাতে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায় ৷
মধু- মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ক্ষয় নিরাময়ে সহায়তা করে ৷ ক্ষতস্থানে মধু লাগালে তা সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করে। ক্ষত স্থান পরিষ্কার করে নিয়মিত মধু লাগালে তা শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি ৷
রসুন- রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিবায়োটিক গুণ ৷ তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতস্থান থেকে রক্ত বন্ধ করতে, ব্যথা কমাতে এবং তা শুকোতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, ক্ষত স্থানকে সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করত সহায়তা করে রসুন ৷
নারকেল তেল- নারকেল তেলও ক্ষত জায়গায় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ৷ এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া বৈশিষ্ট্য যা ক্ষত-র দাগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
(প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের উপর নির্ভর করে লেখা ৷ বিশদে জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷)
আরও পড়ুন: দিন দিন কমছে চুলের ঘনত্ব? ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলো