হায়দরাবাদ: বার্গার থেকে স্যালাড কিংবা স্যান্ডউইচ, লেটুস পাতা জায়গা করে নেয় নিজ গুণেই ৷ সবুজ বা লাল রঙের এই পাতা যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ায় তেমনি এর স্বাস্থ্যগুণের কথা জানলে চমকে যাবেন ৷ ক্যালোরি, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিনস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন কী নেই লেটুস পাতায় ৷ লেটুস পাতার উৎসস্থল মিশর ৷ সেখান থেকেই তা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বে ৷ চার রকমের লেটুস পাতা রয়েছে ৷ হালকা সবুজ, গাঢ় সবুজ, লাল ও বেগুনি রঙের ৷ এদের প্রত্যের স্বাস্থ্যগুণ একে অপরের থেকে সামান্য আলাদা ৷ তবে বলা যেতে পারে, পাতার রঙ যত গাঢ়, তার পুষ্টিগুণ ততই বেশি ৷
লেটুস পাতার উপকারিতা:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- লেটুস পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ৷ এই পাতা আমাদের শরীরে ইমিউনিটি শক্তি বাড়ায় ৷ এই পাতা ক্যানসার প্রতিরোধেও উপকারী ৷
ফাইবার- যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাহলে উপকার পাবেন লেটুস পাতা খেলে ৷ শুধু তাই নয়, যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁদের প্রতিদিন এই পাতা লাঞ্চ বা ডিনারে রাখা উচিত ৷ কারণ এতে রয়েছে খুব অল্প পরিমাণে ক্যালোরি ৷ যে কারণে লেটুস পাতার স্যালাড খেলে পেট থাকে ভরা ৷
ক্যালসিয়াম- ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে ৷ আর লেটুস পাতা ক্যালসিয়ামে ভরপুর ৷ হাড় এবং দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই। এছাড়াও রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যার সমাধানও রয়েছে লেটুস পাতায় ৷
পটাসিয়াম- এই পাতায় রয়েছে পটাসিয়ামের গুণাগুণ ৷ শরীরে পটাসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে চাইলে, পাতে রাখতে পারেন লেটুস পাতা ৷ এছাড়াও হার্ট ভালো রাখতে লেটুস পাতা ভীষণ উপকারী ৷
ভিটামিনস- লেটুস পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এই পাতার মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি-6 ৷ চোখ ভালো রাখতে, সর্দি-কাশি ও ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা পেতে তাই পাতে রাখুন রোজ লেটুস পাতা ৷ এছাড়াও শরীরে জলের অভাব মেটায় লেটুস পাতা ৷
(প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা ৷ বিশদে জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷)