একটি নতুন গবেষণায় আমেরিকার নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিনের সঙ্গে যৌথ অনুষ্ঠান চালাচ্ছে গুগল-এর স্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগ । এই গবেষণার উদ্দেশ্য, ব্রেস্ট ক্যানসার নির্ণয়, অ্যাসেসমেন্ট গ্যাপ কমানো এবং রোগীর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স ব্যবহার করা যায় কিনা, তা দেখা ।
যদি রেডিওলজিস্ট বলেন যে আরও ইমেজিং প্রয়োজন, তাহলে সেই মহিলা একই দিনে তা করাতে পারবেন । চিকিৎসকের পরামর্শের জন্য যিনি অপেক্ষা করছেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সেই সময়টা কমানো যায় কিনা, সেটা দেখাই এই গবেষণার উদ্দেশ্য ।
যে মহিলাদের ম্যামোগ্রামে বিপদসংকেত আসবে না, তাঁরা নির্দিষ্ট সময় মেনেই তাঁদের ইমেজ চিকিৎসককে দেখাবেন ।
প্রতি বছর আমেরিকায় প্রায় ৪০ লক্ষ মহিলা ম্যামোগ্রাফির মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয়ের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যান ।
অনেকের কাছেই এটা একটা আতঙ্কের অভিজ্ঞতা, যেখানে রেডিওলজিস্ট স্ক্যান রিপোর্ট দেখে মতামত দেওয়ার আগে দিনের পর দিন বা সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয় ।
১০ থেকে ১৫ শতাংশ মহিলা দ্বিতীয় ভিজ়িটের জন্য ফিরে আসেন এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে তাঁদের আরও স্ক্যান করাতে হয় ।
নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিনের ব্রেস্ট ইমেজিং বিভাগের প্রধান সারা ফ্রিডওয়াল্ড একটি বিবৃতিতে বলেন, “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করে এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করতে পারব বলে আশা করি । গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক রোগী তাঁদের ম্যামোগ্রাফ রেডিওলজিস্টকে দেখাতে থাকবেন । কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেইসব রোগীকে চিহ্নিত করবে, যাঁদের অতিরিক্ত ইমেজিং প্রয়োজন ।”
নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিনের সঙ্গে এই গবেষণা হচ্ছে আগের একটি গবেষণার ভিত্তিতে, যেখানে বিশেষজ্ঞদের থেকেও দক্ষভাবে এআই মডেল ম্যামোগ্রাম রিপোর্টকে যাচাই করতে পারে ।