হায়দরাবাদ: ভারতীয় রান্নাঘরে এমন অনেক মশলা এবং সবজি ব্যবহার করা হয় ৷ এগুলি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না ৷ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকার করে । আদা এগুলির মধ্যে একটি যা মানুষ বিভিন্ন উপায়ে তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে থাকি । খাবার হোক বা চা, আদা স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি অনেক সমস্যাও দূর করে । স্বাস্থ্যের জন্য এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনি প্রায়শই শুনে থাকবেন, কিন্তু আপনি কি জানেন যে আদা আপনার চুলের জন্যও খুব উপকারী ।
এর শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত ৷ আদা মাথার ত্বক এবং চুলের ফলিকলের জন্য অত্যন্ত উপকারী । চুলের জন্য আদার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি যদি এখনও অবগত না হন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কোন সমস্যায় আদা চুলের জন্য কার্যকর ।
খুশকি অপসারণ করে: ছেলে হোক বা মেয়ে সবাই আজকাল খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকে । এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আদা ব্যবহার করতে পারেন । এতে উপস্থিত অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকের সংক্রমণ এবং খুশকি কমাতে কার্যকরভাবে সাহায্য করে । এছাড়াও এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকের চুলকানি কমাতে সাহায্য করতে পারে । এজন্য শ্যাম্পুতে তাজা আদা মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে পারেন ।
আরও পড়ুন: আদার গুঁড়ো ওজন কমাতে সহায়ক, এই তিন উপায়ে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন
চুল বৃদ্ধি করে: আদা লম্বা, উচ্চ মানের চুল উন্নত করতে সাহায্য করে । মাথার ত্বকে আদা লাগালে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় । এতে রয়েছে অনেক ভিটামিন, মিনারেল এবং ফ্যাটি অ্যাসিড ৷ যা চুলকে মজবুত করতে এবং এর গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করে ৷ চুল লম্বা ও মজবুত করে ।
ফাটা চুল মেরামত করে: দূষণ এবং খারাপ জীবনযাত্রার কারণে চুল খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এমন অবস্থায় চুল খারাপের কারণে ভেঙে যেতে শুরু করে বা কখনও কখনও বিভক্ত হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে । যেহেতু আদা চুলের গুণমান উন্নত করে । এই ক্ষেত্রে এটি চুলকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়ক ৷ যা বিভক্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে ।
চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে: আদার মধ্যে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি চুলের পুষ্টি জোগাতে এবং চুলকে সুন্দর করে তুলতে উপকারী হতে পারে । আদার মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি চুলের ফলিকলগুলিকে রক্ষা করে এবং ক্ষতি কমায় ৷ যার ফলে চুলের বৃদ্ধি চক্রের উন্নতি হয় ।
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)
