হায়দরাবাদ: হালকা শীতের আগমন ঘটেছে । আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনযাত্রারও পরিবর্তন শুরু হয়েছে । পোশাক থেকে শুরু করে খাবার, মানুষ প্রায়শই শীতে নিজেকে উষ্ণ রাখতে অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে । এই ঋতুতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক সময় খুব দুর্বল হয়ে পড়ে । এই পরিস্থিতিতে ডায়েটে কেবল সেই খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করে যা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে ।
ঘি এই খাবারগুলির মধ্যে একটি, যা মানুষ শীতকালে তাদের খাদ্যের অংশ করে তোলে । এটি খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায় । এই কারণেই এটি শীতকালে সুপারফুড হিসাবে কাজ করে । যদি এই ঋতুতে নিজেকে সুস্থ রাখতে চান, তাহলে এই উপায়ে খাদ্যতালিকায় ঘি যোগ করতে পারেন ।
সবজি তৈরি করতে ঘি ব্যবহার করুন: আপনার খাদ্যতালিকায় ঘি যোগ করার সবচেয়ে ভালো এবং সহজ উপায় হল এটি দিয়ে খাবার রান্না করা । পরিশোধিত তেলের পরিবর্তে ঘি দিয়ে শাকসবজি রান্না করলে শুধু তাদের স্বাদই বাড়বে না, আপনার স্বাস্থ্যেরও উপকার হবে । ঘি সবজিতে পাওয়া চর্বি দ্রবণীয় পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে ।
রুটিতে ঘি মাখান: যদি ঘিকে আপনার ডায়েটের অংশ বানাতে চান, তবে সবচেয়ে সহজ উপায় হল এটি রুটির উপর লাগিয়ে খাওয়া । এছাড়াও আপনি ঘি পরোটা তৈরি করে এটি ডায়েটে যোগ করতে পারেন ।
ঘি দিয়ে স্যুপ বা ডাল: এটি আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি । স্যুপ বা ডালে ঘি যোগ করেও খেতে পারেন । এর জন্য আপনাকে কেবল স্যুপ, মুসুর ডাল, কুইনো এবং অন্যান্য শস্যে এক চামচ ঘি যোগ করতে হবে ৷
স্ন্যাকসের সঙ্গে ঘি: ঘরে তৈরি পপকর্ন বা সুইট কর্নের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন । এছাড়াও আপনি এটি পোরিজ এবং প্যানকেক তৈরির সময়ও ব্যবহার করতে পারেন ।
কাঁচা হলুদ ও ঘি: আরেকটি কার্যকরী পদ্ধতি হল কাঁচা হলুদ এবং এক চামচ ঘি একসঙ্গে পিষে নেওয়া । এখন আপনি এগুলিকে এক কাপ দুধে মিশিয়ে পান করতে পারেন বা আপনার সকালের কফি ও চায়ে যোগ করে পান করতে পারেন । এভাবে ঘি খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায় ।
আরেকটি কার্যকরী পদ্ধতি হল কাঁচা হলুদ এবং এক চামচ ঘি একসঙ্গে মিশিয়ে এক কাপ দুধে দিয়ে পান করতে পারেন বা আপনার সকালের কফি বা চায়ে যোগ করে পান করতে পারেন । এভাবে ঘি খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায় ।
আরও পড়ুন: মায়ের সুস্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সন্তানের বিকাশ পর্যন্ত গর্ভাবস্থায় মাখনা খাওয়া খুবই ভালো
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)