হায়দরাবাদ: কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি সমস্যা যাতে মলত্যাগ করতে অনেক অসুবিধা হয় । কখনও কখনও দুই-তিন দিন পর্যন্ত মলত্যাগ হয় না । যার কারণে মেজাজ খিটখিটে থাকে, কিছু খেতে বা পান করতে ভালো লাগে না এবং মাঝে মাঝে পেটে ব্যথা হয় । এই অবস্থাকে হালকাভাবে নেবেন না ৷ কারণ দীর্ঘ কোষ্ঠকাঠিন্যের জেরে কঠিন রোগ হতে পারে । কোষ্ঠকাঠিন্য যে কোনও বয়সেই হতে পারে । কখনও তা কয়েক দিনের জন্য কখনও বা দীর্ঘকাল স্থায়ী হয় । কিন্তু খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায় ।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার
- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অন্তত দুই গ্লাস হালকা গরম জল পান করে হাঁটলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় । প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এক চা চামচ মৌরি গুঁড়ো হালকা গরম জলে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না ।
- কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকালে খোসা ছাড়াই দুটি আপেল খেলে বা এক গ্লাস আপেলের রস পান করলে উপকার পাওয়া যায় ।
- প্রতি রাতে এক চা চামচ তিসি বীজের গুঁড়ো জলের সঙ্গে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় । প্রতিদিন একমুঠো কিসমিস জলে ভিজিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না । প্রতিদিন এক গ্লাস জলে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায় । প্রতিদিন রাতের খাবারে পেঁপে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না । ইসবগুলের ভুসি 10 গ্রাম সকাল-সন্ধ্যা জলের সঙ্গে খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ।
- বিটরুট, শালগম, টমেটো, পালং শাক, গাজর, মুলোর সঙ্গে নারকেল মিশিয়ে স্যালাড খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । প্রতিদিন সকালে খালি পেটে 8-10টি কিসমিস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় । এছাড়াও বিটনুন, ভাজা জিরে এবং ভাজা সেলারি সমপরিমাণে মিশিয়ে গুঁড়ো তৈরি করুন । আধা চা চামচ এই গুঁড়ো প্রতিদিন রাতে হালকা গরম জলের সঙ্গে খান ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস
প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে ঘুমানো, জেগে ওঠা এবং খাওয়ার অভ্যাস করুন । বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ জিনিস খান ৷ প্রতিদিন 8-10 গ্লাস জল পান করতে হবে । বেশি তেল-মশলা ও ময়দা দিয়ে তৈরি জিনিস থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন ।
আরও পড়ুন: পিরিয়ডের সময় পেঁপে খাওয়া উচিত ? বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)