হায়দরাবাদ: শীতকালে সংক্রমণ নতুন নয় । শীত শুরু হলেই সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, অ্যালার্জি-সহ নানা ধরনের সংক্রমণ হতে থাকে । এই কারণে প্রচুর কফ তৈরি হতে শুরু করে এবং তারপরে এটি বুকের জমে যায় । এমতাবস্থায় সময়মতো চিকিৎসা করা প্রয়োজন ।
প্রায়শই মানুষ বিশ্বাস করে যে সর্দির সংস্পর্শে আসা সর্দি কাশির কারণ । তবে এটি সম্পূর্ণ সঠিক নয় । আসলে আমরা যখন শ্বাস নি তখন ধূলিকণা, ব্যাকটেরিয়া এবং ধোঁয়াও আমাদের নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে । এমন অবস্থায় আমাদের শরীরে দুই ধরনের বর্জ্য তৈরি হতে থাকে ৷ একটি তৈরি হয় ধুলোবালি ও দূষণ থেকে এবং অন্যটি কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে ।
কফ কীভাবে গঠিত হয় (How phlegm is formed) ?
কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে সৃষ্ট বর্জ্য নিঃশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে যায় ৷ কিন্তু ধুলোবালি ও দূষণ থেকে সৃষ্ট বর্জ্য আমাদের ফুসফুসে জমে যায় এবং শরীরে জলের অভাব হলে এই জমে থাকা বর্জ্য ফুসফুসেই পচে যায় ৷ তারপর তা রূপ নেয় । কফ এই কফের আধিক্যের কারণে গলায় জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা হয় । এমন পরিস্থিতিতে কাশি থেকে মুক্তি পেতে আপনি এই খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন ।
আদা: আদা, গুড়, তুলসি ও গোল মরিচের ক্বাথ খুবই উপকারী । এটি গলা ব্যথা উপশম করে । এটি কফ দূর করতেও সাহায্য করে ।
ওটস: ওটসে উপস্থিত প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ৷ যার ফলে সর্দি এবং কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । শুধু তাই নয়, এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে ।
দই: ঠান্ডা আর দই শুনে হয়তো আজব হবেন ৷ তবে এটা ঠিক যে শীতকালে দই খাওয়া শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্যই উপকারী । একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ দইয়ের একটি শীতল প্রভাব রয়েছে ৷ যা গলাকে স্বস্তি দেয় । এছাড়াও, এতে উপস্থিত প্রোবায়োটিকগুলি স্বাস্থ্যের কারণ । মনে রাখবেন সবসময় ঘরে তৈরি তাজা দই খান ।
স্বাস্থ্যকর মশলাদার জিনিস খান: মাংস, মটন, চিকেন বা চিকেন স্যুপের মতো গরম মশলা দিয়ে তৈরি খাবার সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয় ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)