হায়দরাবাদ: অফিসে শুধু কাজ নয়, এ ছাড়াও আরও অনেক বিষয় আছে যা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হয়। আপনার বসের আচরণ, আপনার সহকর্মীদের আচরণ, কাজের চাপ ইত্যাদি অনেক বিষয় রয়েছে যা আপনাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করে । এসব কারণে অনেক সময় কাজের টেনশনের কারণে অফিসে হঠাৎ উদ্বিগ্ন বা নার্ভাস বোধ করতে শুরু করেন । একে কর্মক্ষেত্রের উদ্বেগ বলে । এই কারণে আপনার স্বাস্থ্য এবং উত্পাদনশীলতা উভয়ই প্রভাবিত হতে পারে । অতএব এটি মোকাবিলা করা বা প্রতিরোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কিছু টিপস এটি মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে ৷ আপনি কীভাবে কর্মক্ষেত্রের উদ্বেগ মোকাবিলা করতে পারেন তা জেনে নিন (Learn how to deal with workplace anxiety)।
গভীর শ্বাস নিন: গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস উদ্বেগ শান্ত করতে খুব কার্যকর হতে পারে । আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে উদ্বেগ অনুভব করতে শুরু করেন তবে বিরতি নিন এবং দীর্ঘ, গভীর শ্বাস নিন । আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করলে আপনার মন শান্ত হবে এবং আপনি শিথিল হতে পারবেন ।
ট্রিগার সনাক্ত করুন: আপনি কেন উদ্বিগ্ন বোধ করেন তা নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে । অনেক সময় আমরা কাজে এতটাই মগ্ন থাকি যে কেন আপনি হঠাৎ উদ্বিগ্ন বোধ করছেন তা আমরা বুঝতে পারি না । তাই আপনার ট্রিগার শনাক্ত করার চেষ্টা করুন ৷ হতে পারে এটি একজন সহকর্মীর কারণে বা সময়সীমা কাছাকাছি হলে আপনি নার্ভাস বোধ করেন । এই ট্রিগার পয়েন্ট নোট করুন এবং তাদের মোকাবিলা করার চেষ্টা করুন ৷
ছোট বিরতি নিন: কাজের সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে উদ্বেগের সমস্যা দেখা দেয় । অতএব ছোট বিরতি নেওয়ার চেষ্টা করুন । এটি আপনার মনকে শিথিল রাখবে এবং আপনি আরও ভালোভাবে কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন । এ জন্য আপনি চাইলে আপনার ডেস্ক থেকে উঠে 5 মিনিট হাঁটুন বা চা পান করুন ।
কাজগুলি সংগঠিত করা: এটা ঘটতে পারে যে কখনও কখনও আপনি একটি বড় উপস্থাপনা বা একটি প্রকল্প সম্পর্কে নার্ভাস বা চাপ পান । এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আপনার কাজকে ছোট ছোট ধাপে ভাগ করার চেষ্টা করুন । এটির মাধ্যমে আপনি কাজটি সহজেই সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন এবং আপনি মানসিক স্বচ্ছতাও পাবেন ৷ প্রতিটি কাজ শেষ করার পরে, আপনি আনন্দ অনুভব করবেন ৷ যা আপনার চাপ কমাতে সাহায্য করবে ।
কাজের জীবনের ভারসাম্য: কাজের পাশাপাশি আপনার জীবনের অন্যান্য কাজের জন্য সময় দিন । বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন, বেড়াতে যান, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, এটি আপনাকে সর্বদা কাজের কথা ভাবতে বাধা দেবে এবং আপনি আরাম করার সময় পাবেন ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)