হায়দরাবাদ: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দ্বিতীয় ডোজের পর টিকাপ্রাপ্ত ( টিকা নেওয়ার অন্তত 14 দিন পর) এবং টিকা না-নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রোগের ঝুঁকি কতটা, তার একটি সমীক্ষা করেছেন । যদিও সামগ্রিকভাবে, এই অনুসন্ধানগুলি এটাই দেখায় যে কোভিড টিকা শরীরের আকার নির্বিশেষে প্রত্যেকের জন্যই গুরুতর রোগের ঝুঁকিকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করেছে ৷ তবে কম ওজন সম্পন্ন বা শীর্ণকায় ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই টিকার প্রভাব কিছুটা কম ছিল (COVID vax more effective for obese people than underweight)।
যে সকল ব্যক্তির ওজন কম, তাঁদের মধ্য়ে একটি গবেষণা চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি টিকা না -নেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় অর্ধেক ৷ গবেষকদের মতে, এর কারণ এমন হতেই পারে যে কম ওজনের লোকদের মধ্য়ে টিকা নেওয়ার সংখ্য়া কম ছিল। বিএমআই এবং ইমিউন রেসপন্সের মধ্যে সম্পর্ক কতখানি, তা খুঁজে বের করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যবান তথা উচ্চ বিএমআই যুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যাঁদের টিকা দেওয়া হয়েছিল তাঁদের টিকা না দেওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় প্রায় 70 শতাংশ কম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা ছিল । উচ্চ বিএমআই-যুক্ত ব্যক্তিদের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের দু'সপ্তাহ পর মারা যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে দাঁড়িয়েছিল প্রায় দুই-তৃতীয়াংশে ৷
গবেষণার প্রধান লেখক ডাঃ কারমেন পিয়েরনাস বলেছেন, "আমাদের অনুসন্ধানগুলি প্রমাণ দেয় যে কোভিড ভ্যাকসিনগুলি সমস্ত ধরণের মানুষেরই জীবন বাঁচায় ৷ এমনকী যারা মোটা এই ফলাফল তাঁদেরও আশ্বস্ত করে যে কোভিড ভ্যাকসিনগুলি তাঁদের জন্য সমানভাবে কার্যকর ৷ এই তথ্যগুলি কম বিএমআই যুক্ত ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন গ্রহণের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাকেও তুলে ধরে ৷"
আরও পড়ুন : বর্ষাকালে চায়ে মেশান এই পাঁচটি ভেষজ, রেহাই পাবেন বহু অসুখ থেকে
গবেষণার জন্য, 18 বছরের বেশি বয়সি 9,171,524 জন রোগীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল ৷ যাঁদের বিএমআই ডেটা আগেই সংগ্রহ করে ছিলেন গবেষকরা ৷ সেই অনুযায়ী, তাঁদের দু'টি দলে ভাগও করা হয় ৷ প্রসঙ্গত, 8 ডিসেম্বর, 2020 থেকে 17 নভেম্বর, 2021 পর্যন্ত এঁরা কেউ করোনা সংক্রমিত হননি । গবেষকরা দেখেছেন যাঁদের বিএমআই 23 অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর তাঁদের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকির 50 শতাংশ বেশি ছিল যাঁদের বিএমআই 17 সেই ব্যক্তিদের ৷ আবার বিএমআই খুব বেশি হলেও বিপদ ৷ 44-এর বেশি বিএমআই হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি তিনগুণ বেশি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ।