ETV Bharat / sukhibhava

স্তনের ক্যান্সার নির্ণয় করতে কাউন্সেলিং - মুম্বইয়ের নারায়ণদাস মোরবাই বুধরানি ট্রাস্ট

মুম্বইয়ের নারায়ণদাস মোরবাই বুধরানি ট্রাস্টের মনস্তত্ত্ববিদ ও প্রাক্তন কেরিয়ার কাউন্সিলর কাজল ইউ দাভের সঙ্গে কথা বলল ETV ভারত সুখীভব ।

Counselling prepares, motivates detection of Breast
স্তনের ক্যান্সার নির্ণয় করতে কাউন্সেলিং
author img

By

Published : Oct 20, 2020, 3:57 PM IST

42 বছরের সুধা তাঁর মেডিকেল ফাইল এবং কাউন্সেলিংয়ের জন্য রেফারেন্স নোট নিয়ে কাউন্সেলরের কেবিনে এলেন । তাঁর চোখ জলে ভেজা । কয়েক মিনিট ঘরের মধ্যে পিন ড্রপ সাইলেন্স । তারপর কাউন্সেলরই বরফটা গলালেন এবং তাঁর আসার কারণ জানতে চাইলেন । পাথরের মতো মুখ করে সুধা কাউন্সেলরকে নোটটা দিলেন এবং বললেন যে কয়েকটা রুটিন পরীক্ষার জন্য তিনি ডাক্তারের কাছে এসেছিলেন । ডাক্তার তাঁকে কয়েকটি ব্লাড টেস্ট এবং ম্যামোগ্রাফি করতে বলেছেন ।

সুধা একজন পরিশ্রমী গৃহবধূ এবং দুই সন্তানের মা । টেস্ট করাতে হবে শুনে তিনি কেঁপে উঠেছেন । একরাশ দুশ্চিন্তা তাঁকে গ্রাস করেছে, “আমার কী হবে? সন্তানদের কী হবে? আমি আমার পরিবারকে দেখব কী করে?”

কাউন্সেলর সহানুভূতির সঙ্গে তাঁর সব কথা শুনলেন, তারপর রোগ সম্পর্কে মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা শুরু হল । কাউন্সেলর বুঝিয়ে বলেন যে প্রাথমিক পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছে মানেই এটা নয় যে তাঁর ক্যান্সার হয়েছে । যেহেতু সুধার পরিবারে ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে, তা এটা একটা প্রাথমিক পদক্ষেপ । আজ বিজ্ঞান ও চিকিৎসাব্যবস্থার যেভাবে উন্নতি হয়েছে, তাতে অনেকধরণের ক্যান্সারই শুরুতে ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসায় সেরে যায় ।

এটা জানার পর সুধা চিকিৎসকদের পরামর্শমতো পরীক্ষা করাতে মানসিকভাবে প্রস্তুত হলেন এবং ফলাফলের অপেক্ষায় রইলেন ।

সুধার মতো বহু মহিলাকেই কোনও না কোনও সময় এধরণের পরীক্ষা করাতে হয় এবং প্রথমেই তাঁরা তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন । ক্যান্সার শব্দটাই মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত কারণ আমরা অনেককেই ক্যান্সারে কষ্ট পেতে দেখেছি বা প্রিয়জনদের হারিয়েছি । কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই তা সেরেও গেছে, সাহসীরা এই যুদ্ধে লড়ে জিতে এসেছেন ।

আরও ভাল করে বোঝার জন্য মিথ এবং সত্যিগুলোকে যাচাই করা যাক:

মিথ: যাঁদের ক্যান্সার হয়, তাঁদের অন্যদের থেকে দূরে থাকা উচিত ।

সত্যি: ক্যান্সার ছোঁয়াচে নয় । টিউমার বা ক্যান্সার কোষ শরীরের মধ্যেই তৈরি হয় এবং ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মতো তা ছড়িয়ে পড়ে না ।

মিথ: ক্যান্সার মানেই মৃত্যু ।

সত্যি: অনেক মানুষই ক্যান্সার সারিয়ে ফিরে সুখী জীবনযাপন করছেন ।

মিথ: ক্যান্সার হলে শিশুদের থেকে দূরে সরে থাকা উচিত ।

সত্যি: আগেই বলা হয়েছে এটা সংক্রামক নয়, তাই বাচ্চাদের ওপরেও প্রভাব পড়বে না ।

মিথ: ক্যান্সার হলে বিবাহ ও সন্তানধারণ সম্ভব নয় ।

সত্যি: চিকিৎসক, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং কাউন্সেলরের পরামর্শ মানলে এধরণের সংবেদনশীল বিষয়ের সমাধান খুঁজে পাওয়া যেতে পারে ।

মিথ: ক্যান্সার চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল এবং অপারেশনই একমাত্র পথ ।

সত্যি: হ্যাঁ, পরিবারে আর্থিক ব্যবস্থাপনা না থাকলে ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যয়বহুল হতে পারে এবং অনেকে পিছিয়েও যান। কিন্তু এখন বহু সরকারি, এমনকী বেসরকারি হাসপাতালও রয়েছে যারা চিকিৎসা করাতে আসা পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ায়। অনেক স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থাও আর্থিকভাবে সহায়তা করে থাকে। সহায়তার জন্য কোনও ব্যক্তি তাঁর চিকিৎসক, সমাজকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। টাকার অভাবে চিকিৎসা না করানোর সমাধান করা যেতে পারে।

42 বছরের সুধা তাঁর মেডিকেল ফাইল এবং কাউন্সেলিংয়ের জন্য রেফারেন্স নোট নিয়ে কাউন্সেলরের কেবিনে এলেন । তাঁর চোখ জলে ভেজা । কয়েক মিনিট ঘরের মধ্যে পিন ড্রপ সাইলেন্স । তারপর কাউন্সেলরই বরফটা গলালেন এবং তাঁর আসার কারণ জানতে চাইলেন । পাথরের মতো মুখ করে সুধা কাউন্সেলরকে নোটটা দিলেন এবং বললেন যে কয়েকটা রুটিন পরীক্ষার জন্য তিনি ডাক্তারের কাছে এসেছিলেন । ডাক্তার তাঁকে কয়েকটি ব্লাড টেস্ট এবং ম্যামোগ্রাফি করতে বলেছেন ।

সুধা একজন পরিশ্রমী গৃহবধূ এবং দুই সন্তানের মা । টেস্ট করাতে হবে শুনে তিনি কেঁপে উঠেছেন । একরাশ দুশ্চিন্তা তাঁকে গ্রাস করেছে, “আমার কী হবে? সন্তানদের কী হবে? আমি আমার পরিবারকে দেখব কী করে?”

কাউন্সেলর সহানুভূতির সঙ্গে তাঁর সব কথা শুনলেন, তারপর রোগ সম্পর্কে মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা শুরু হল । কাউন্সেলর বুঝিয়ে বলেন যে প্রাথমিক পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছে মানেই এটা নয় যে তাঁর ক্যান্সার হয়েছে । যেহেতু সুধার পরিবারে ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে, তা এটা একটা প্রাথমিক পদক্ষেপ । আজ বিজ্ঞান ও চিকিৎসাব্যবস্থার যেভাবে উন্নতি হয়েছে, তাতে অনেকধরণের ক্যান্সারই শুরুতে ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসায় সেরে যায় ।

এটা জানার পর সুধা চিকিৎসকদের পরামর্শমতো পরীক্ষা করাতে মানসিকভাবে প্রস্তুত হলেন এবং ফলাফলের অপেক্ষায় রইলেন ।

সুধার মতো বহু মহিলাকেই কোনও না কোনও সময় এধরণের পরীক্ষা করাতে হয় এবং প্রথমেই তাঁরা তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন । ক্যান্সার শব্দটাই মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত কারণ আমরা অনেককেই ক্যান্সারে কষ্ট পেতে দেখেছি বা প্রিয়জনদের হারিয়েছি । কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই তা সেরেও গেছে, সাহসীরা এই যুদ্ধে লড়ে জিতে এসেছেন ।

আরও ভাল করে বোঝার জন্য মিথ এবং সত্যিগুলোকে যাচাই করা যাক:

মিথ: যাঁদের ক্যান্সার হয়, তাঁদের অন্যদের থেকে দূরে থাকা উচিত ।

সত্যি: ক্যান্সার ছোঁয়াচে নয় । টিউমার বা ক্যান্সার কোষ শরীরের মধ্যেই তৈরি হয় এবং ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মতো তা ছড়িয়ে পড়ে না ।

মিথ: ক্যান্সার মানেই মৃত্যু ।

সত্যি: অনেক মানুষই ক্যান্সার সারিয়ে ফিরে সুখী জীবনযাপন করছেন ।

মিথ: ক্যান্সার হলে শিশুদের থেকে দূরে সরে থাকা উচিত ।

সত্যি: আগেই বলা হয়েছে এটা সংক্রামক নয়, তাই বাচ্চাদের ওপরেও প্রভাব পড়বে না ।

মিথ: ক্যান্সার হলে বিবাহ ও সন্তানধারণ সম্ভব নয় ।

সত্যি: চিকিৎসক, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং কাউন্সেলরের পরামর্শ মানলে এধরণের সংবেদনশীল বিষয়ের সমাধান খুঁজে পাওয়া যেতে পারে ।

মিথ: ক্যান্সার চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল এবং অপারেশনই একমাত্র পথ ।

সত্যি: হ্যাঁ, পরিবারে আর্থিক ব্যবস্থাপনা না থাকলে ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যয়বহুল হতে পারে এবং অনেকে পিছিয়েও যান। কিন্তু এখন বহু সরকারি, এমনকী বেসরকারি হাসপাতালও রয়েছে যারা চিকিৎসা করাতে আসা পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ায়। অনেক স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থাও আর্থিকভাবে সহায়তা করে থাকে। সহায়তার জন্য কোনও ব্যক্তি তাঁর চিকিৎসক, সমাজকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। টাকার অভাবে চিকিৎসা না করানোর সমাধান করা যেতে পারে।

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.