হায়দরাবাদ: মহিলাদের ক্ষেত্রে 30 বছর বয়সের পরে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে । এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার । এই বয়সে নারীদেরও অনেক শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় । এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে হাড়ের ওপর । শরীরে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে ডায়েটে কিছু সুপার ফুড অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । যার ফলে 30 বছর বয়সের পরেও হাড় মজবুত এবং সুস্থ থাকবে ৷ জেনে নিন, সেগুলি কী কী ?
পালং শাক: পালং শাকে আয়রন ও ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি এবং আরও অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় । এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে । শরীরে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে এটিকে ডায়েটে বিভিন্ন উপায়ে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । যদি ইচ্ছা হয়, এটি স্যালাড হিসাবে খাওয়া যেতে পারে বা পালং শাক সবজি বা অন্যান্য খাবারে যোগ করে খাওয়া যেতে পারে । এটি দিয়ে চিকেন দিয়ে স্যুপ বানিয়েও খেতে পারেন ৷
কলমি শাক: কলমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় । এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে । কলমি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করতে অনেক সাহায্য করে । এটি স্যালাড বা স্মুদি হিসাবে খেতে পারেন । এছাড়াও এটি সবজি বানিয়ে খেতে পারেন ৷
সরষের সবুজ শাক: সরষে শাক ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি-এর মতো পুষ্টিগুণে ভরপুর । আপনি এটি স্যুপ বা অন্যান্য সবজি যোগ করে খেতে পারেন ।
মেথি পাতা: মেথি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার রয়েছে । আপনি তরকারি, পরোটা বা ডালে এই পাতাগুলি যোগ করেও খেতে পারেন । এগুলি খেতে সুস্বাদু এবং শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে ।
আমড়ার পাতা: আমড়ার পাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে । এতে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি । আপনি এই পাতাগুলিকে সবুজ শাক, স্যুপ বা মসুর ডালে অন্তর্ভুক্ত করে খেতে পারেন ।
বাদাম: বাদাম ক্যালসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস । এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন-ই এবং অন্যান্য উপাদান পাওয়া যায় । এগুলি আপনি স্ন্যাক হিসাবে খেতে পারেন । এটি অনেক খাবারের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে ।
আরও পড়ুন: গরমে সুস্থ থাকতে রাতের খাবারে বিশেষ নজর দিন
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)