হায়দরাবাদ: এখন ঘরে ঘরে কেউ না কেউ উচ্চ রক্তচাপ বা ব্লাড সুগারের রোগী ৷ দিন দিন বেড়ে চলা এই অসুখ ঘুম কেড়েছে প্রবীণ থেকে শুরু করে ইয়ং জেনরেশনের ৷ চিকিৎসকরা বলেন, সুগার হলে প্রতিদিন ওষুধ খাওয়াটা মাস্ট ৷ সুগার লেভেল ঠিক রাখতে এটা করতেই হয় ৷ তবে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এমন কিছু ঘরোয়া জিনিসের কথা বলা হয়েছে, যা খেলেও ব্লাগ সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভবপর ৷ অল্পব্যায়ে এই জিনিসগুলি যদি নিয়ম মতো ব্যবহার করা যায়, তাহলে রক্তচাপ থেকে অনেকটাই নিস্তার পাওয়া সম্ভব হয় ৷
করলা: অ্যান্টি-ডায়াবেটিক গুণাগুণ করলাতে রয়েছে ভরপুর ৷ এতে পলিপেপটাইড-পি নামক ইনসুলিনের মতো একরকম পদার্থ রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে । করলা শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বজায় রাখে এবং ইনসুলিন নিঃসরণকে সহায়তা করে ৷ ফলে সুগারের রোগীর জন্য ওষুধের পাশাপাশি করলা উপকৃত সবজি হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন ৷
জাম: বাজারে জাম খুব সহজলভ্য একটা ফল ৷ এই ফল ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ৷ কারণ জামে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম ৷ এছাড়াও অ্যান্থোসায়ানিন, এলাজিক অ্যাসিড এবং পলিফেনলের মতো বেশ কিছু উপাদান রয়েছে সুগারের ঝুঁকি কমায় ৷
গুলঞ্চ: পথচলতি অনেক দোকানেই গুলঞ্চ বিক্রি করা হয় ৷ খব বেশি দামও হয় না ৷ এটি এক ধরণের কাণ্ড ৷ এই গুলঞ্চ রক্তে শর্করার প্রভাব কমাতে ব্যাপক ভূমিকা গ্রহণ করে ৷ এর হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব শরীরে ইনসুলিন নিঃসরণ মাত্রা বজায় রেখে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ৷
আমলা: আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমলার একাধিক গুণের কথা বলা হয়েছে ৷ আমলা শরীরে নানা উপকার করে থাকে ৷ তার মধ্যে একটি হচ্ছে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ৷ এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস যা শর্করার মাত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ৷
গুডমার (জিমনেমা সিলভেস্ট্রে): এটি এক ধরণের ভেষজ উদ্ভিদ ৷ এই পাতাও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ৷ এই উদ্ভিদ সুগার ডেস্ট্রয়ার নামেও পরিচিত ৷ ভেষজ এই উদ্ভিদ সব জায়গায় পাওয়া যায় না ৷ মূলত, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও বিহারে এই ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: বর্ষায় ত্বকে ব়্যাশ-চুলকানির সমস্যা ? নিমের পাতায় মুশকিল আসান
(প্রতিবেদনটি বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা ৷ বিশদে জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷)