হায়দরাবাদ: আসামের পইতা ভাত, ওড়িশার পাখালা ভাত বা বা বিহারের গিল ভাত খেয়েছেন নিশ্চই ! বুঝতে পারলেন না তো, কোন রেসিপি কথা বলছি ৷ তাহলে বাংলায় বললে নিশ্চই চিনতে পারবেন ৷ বলছি পান্তা ভাতের কথা ৷ ভাতে করে তা সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে ব্যবহার করলেই তার নাম হয়ে যায় পান্তা ভাত ৷ এই ভাত বিদেশের মাটিতে উঠে এসেছে শিরোনামে ৷ এহেন বাংলার ঘরে ঘরে অতি পরিচিত এই খাবারের গুণাগুণ জানেন ? অবাক লাগলেও, এটা সত্যি ৷ পুষ্টিবিদদের মতে পান্তা ভাতে রয়েছে একাধিক গুণ, যা শরীর ভালো রাখতে বিশেষভাবে উপকারী ৷ কী কী উপকারিতা পাবেন পান্তা ভাত খেলে, একনজরে জেনে নিন ৷
- পান্তা ভাতে রয়েছে আয়রণ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস, ভিটামিন বি, কে, বি 6, বি 12 ৷ খুব সহজে বললে, প্রতিদিন যে ভাত আমরা খাই, তার থেকে অনেক বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে পান্তা ভাতে ৷
- পান্তা ভাত প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার ৷ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা যেমন ডুওডেনাল আলসার, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, সিলিয়াক ডিজিজ, সংক্রমণ ইত্যাদি নিরাময় বা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে পান্তা ভাত। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পান্তা ভাত কার্যকরী।
- সারা রাত জল ঢালা এই ভাতে রয়েছে ইলেকট্রবাইটস যা ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি, দুর্বলতা রোধ করতে পারে ৷ এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে পান্তা ভাত ৷ বিপাকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে ৷ হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়াম ভীষণ উপকারী ৷ পান্তা ভাত থেকে পেয়ে যাবেন সেই পুষ্টি গুণ ৷
- দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড নামে এক রকমের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সেই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায় পান্তা ভাতেও ৷
- পান্তা ভাত শরীর ঠান্ডা রাখতেও ভীষণ উপকারী ৷ গরম কালে সপ্তাহে অন্তত দু'দিন থেকে তিনদিন এই ভাত খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা ৷
- তবে পান্তা ভাত খেলে সেই রকম কোনও ক্ষতির বিষয় না থাকলেও ডায়াবেটিকস-এর রোগীরা পান্তা ভাত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন ৷ এছাড়া যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে বা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা পান্তা ভাত এড়িয়ে চলুন ৷ পাশাপাশি যাঁদের ওবেসিটির সমস্যা রয়েছে এড়িয়ে চলুন জলে ভেজানো এই ভাত ৷
আরও পড়ুন: পিরিয়ডস বা ঋতুকালীন সময়ে পেটে ব্যথা থেকে মুক্তি পান সহজ উপায়ে
(প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা ৷ বিশদে জানতে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন ৷)