হায়দরাবাদ: ডায়াবেটিস এমন একটি অবস্থা যা সহজে নিরাময় করে না বা এটি অন্যান্য রোগকে নিরাময় করতে দেয় না । ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির অন্যান্য রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন । আপনি কি জানেন, ডায়াবেটিস থেকেও চোখের সমস্যা হতে পারে ? স্পষ্টতই, ডায়াবেটিস ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি নামক চোখের রোগের কারণ হতে পারে । এই কারণে, উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলির নেটওয়ার্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে যা রেটিনায় রক্ত সরবরাহ করে । এর ফলে দৃষ্টি সমস্যা হয় (Diabetic Retinopathy For Health)।
এটি সাধারণত একটি হালকা রোগ হিসাবে শুরু হয় । কিছু মানুষ তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন লক্ষ্য করে, যেমন দূরে থাকা অক্ষর পড়তে অক্ষমতা বা কোনও বস্তু দেখতে অসুবিধা । রোগের পরবর্তী পর্যায়ে, রেটিনার রক্তনালীগুলি ভিট্রিয়াস-তরলে রক্তপাত শুরু করে । অনেক সময় এই রক্তে চোখ সম্পূর্ণ ভরে যায় । এর কারণে একজন ব্যক্তি সাময়িক বা স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন ।
কাদের ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ঝুঁকি রয়েছে: ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি টাইপ 1 বা টাইপ 2 উভয় ধরনের ডায়াবেটিসেই হতে পারে । ডায়াবেটিসে আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলারাও এই চোখের রোগের সম্মুখীন হন। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়লে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করাতে হবে ।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কিছু লক্ষণ: ঝাপসা দৃষ্টি, ঝাপসা দৃষ্টি, বিবর্ণতা, রাতে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদিকে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।
চিকিৎসা: আক্রান্ত চোখের অবস্থার ওপর চিকিৎসা নির্ভর করে । অবস্থার তীব্রতার উপর নির্ভর করে, চক্ষু বিশেষজ্ঞ লেজার চিকিত্সা বা অস্ত্রোপচার পদ্ধতির সুপারিশ করতে পারেন । ইনট্রাভিট্রিয়াল ইনজেকশন নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে সুপারিশ করা যেতে পারে । এছাড়াও, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা । অতএব, প্রতিদিন ব্যায়াম করে, স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে এবং ইনসুলিন এবং ডায়াবেটিসের ওষুধের জন্য আপনার ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন কঠোরভাবে অনুসরণ করে আপনার রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা আবশ্যক । উপরের লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন ।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন ? এই ফলগুলি খান
(উপরের সুপারিশগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে । অসুস্থতা বা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না) ।