হায়দরাবাদ: আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে এত কঠোর পরিশ্রম করি । ব্যায়াম, ডায়েটিং অনেককিছুই । জেনে নিন, ফিট থাকার একটি খুব সহজ মন্ত্র । সুস্থ থাকার জন্য, আপনাকে শুধু এবিসি সূত্র মনে রাখতে হবে । আসলে এবিসি হল এমন একটি জুস, যা পুষ্টিকর ফল ও সবজি দিয়ে তৈরি, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। এবিসি জুস মানে আপেল, বিট এবং গাজরের রস । এই তিনটি জিনিস মিশিয়ে যে রস তৈরি করা হয় তাকে বলা হয় এবিসি জুস । এটি পান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে যে খুব কম জুস থাকবে যা এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে । জেনে নিন, এবিসি জুস পান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায় ।
আপেল, বিট এবং গাজরে অনেক ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায় ৷ যেমন ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে । এছাড়া পটাশিয়াম ও আয়রনের মতো অনেক ধরনের খনিজও এদের মধ্যে পাওয়া যায় । এছাড়া এগুলির মধ্যে ফাইবারও পাওয়া যায় । এসব পুষ্টি উপাদান থাকার কারণে এই জুস পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে (Drinking this juice has many benefits)।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী: ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে । অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে, এই রস অক্সিডেটিভ ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়তা করে, যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও এই কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ।
হজমের জন্য উপকারী: আপেল, বিট এবং গাজরে রয়েছে ফাইবার ৷ যা হজমের জন্য উপকারী । যদিও এতে পুরো ফলের মতো ফাইবার থাকে না তবুও এতে অল্প পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমে সাহায্য করতে পারে অনেকাংশে ।
ডিটক্সিফাই করতে সহায়ক: এই জুস পান করলে আপনার শরীরে উপস্থিত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করতে পারে । বিট এবং গাজরে ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় যা লিভারের জন্য খুবই উপকারী এবং এটিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ।
দৃষ্টিশক্তির জন্য উপকারী: ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে । এই রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায় ৷ যা চোখ সুস্থ রাখতে খুবই উপকারী । তাই এই জুস পান করলে চোখ দুর্বল হবে না ।
ত্বক সুন্দর করে: এই জুস হয়ে উঠতে পারে সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য । এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং কালো দাগ হালকা করতেও সাহায্য করে । তাই এই জুস আপনার সুন্দর ত্বকের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে ।
আরও পড়ুন:
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)