হায়দরাবাদ : ই-সিগারেট ক্ষতিকারক প্রভাব ঠিক কতখানি? সিগারেটের তুলনায় এর ব্যবহার নিরাপদ বলে যে দাবি করেন বিক্রেতারা তা কি আদৌ সত্যি? এমন নানা প্রশ্ন প্রায়শই ওঠে ভেপিং বা ই-সিগারেটকে কেন্দ্র করে ৷ অনেকেই মনে করেন এর কারণে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্য়েও ধূমপানের সম্ভবনা বাড়বে ৷ অস্ট্রেলিয়ানদের ক্ষেত্রেও এই ভেপার ব্যবহারের হার আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে ৷ সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যেকোনও বয়সেই ভেপিং স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে ৷ ফেডারেল স্বাস্থ্য বিভাগ এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ই-সিগারেটে যে লাভ রয়েছে, তার চেয়ে ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি৷
কী বলছে গবেষণা:
গবেষণায় খতিয়ে দেখা হয়েছে সেই ধরণের ডিভাইস বা ই-সিগারেট, যা তরলকে অ্যারোসোলাইজ করে স্বাস্থ্যের পক্ষে তা ঠিক কতখানি ক্ষতিকর? ভেপিংকে সিগারেটের নিরাপদ বিকল্প এবং ধূমপান ত্যাগ করার সহায়ক হিসাবে বিবেচনা করা হয় । পর্যালোচনায় চূড়ান্ত ক্লিনিকাল প্রমাণ পাওয়া গেছে ই-সিগারেটের কারণে ফুসফুসের তীব্র (স্বল্পমেয়াদী) সমস্য়া, বিষক্রিয়া, পোড়া ক্ষত তৈরি হয় ৷ প্য়াসিভ স্মোকারদের জন্য ধূমপান যেমন ক্ষতিকর, তেমনই যাঁরা ভেপিং করেন না তাঁদের পাশে বসে ভেপিং করলে তাঁদেরও ক্ষতি হয় ৷ কারণ এটি এয়ারবোর্ন তৈরি করে ৷
শুধু তাই নয়, এটি আসক্তির দিকেও নিয়ে যায় ৷ বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, যাঁরা ধূমপান করেন না তাঁরা যদি ভেপিং শুরু করেন, তাহলে তাঁদের ধূমপানের সম্ভবনা অন্তত তিনগুণ বেড়ে যায় (E Cigarettes can Gradually Lead Towards Smoking)৷ এখনও পর্যন্ত ই সিগারেটের উপকারী ফলাফলের তেমন কোনও শক্তিশালী প্রমাণ নেই ৷ তাই বিশেষজ্ঞদের মতে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে এটিকে স্মোকিং ছাড়ার জন্য় ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ সেক্ষেত্রেও সতর্কতা প্রয়োজন ৷
যুবসমাজের মধ্যে ভেপিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে :
অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সংস্থার রিপোর্ট বলছে, 18-24 বছর বয়সিদের মধ্য়ে ভেপিংয়ের হার 2016 সালে 19.2% ছিল ৷ যা 2019 সালে 26.1%-এ পৌঁছেছে ৷
সরকারের করণীয় কী ?
- প্রেসক্রিপশন ছাড়া ই সিগারেটের কেনার অনুমতি না দেওয়া ৷
- অনলাইনে ই সিগারেট কেনা এখনও সহজ ৷ এবিষয়ে নিয়ম প্রণয়ন করা ৷ অন্যথায় জরিমানার ব্যবস্থা করা ৷