তার বহুমুখী গুণাবলীর জন্য অ্যালো জেল সবসময় আলোচনার কেন্দ্রে থাকে। বড় হওয়ার পথে, চুল বা ত্বকের সমস্যার সমাধানের একটিই গোপন চাবিকাঠি প্রজন্মের পর প্রজন্ম মায়ের থেকে মেয়ের কাছে আসে – অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। তাঁরা ঠিকই জানেন, অ্যালো জেল ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে পূর্ণ, যারা উপশমের কাজ করে। এছাড়াও এই জেলে, জলের ভাগ বেশি থাকায় দুর্দান্ত হাইড্রেটর হিসেবেও কাজ করে।
চোখের নিচের সমস্যার ক্ষেত্রে
চোখের নিচে অ্যালোভেরা লাগিয়ে সারারাত রাখলে ডার্ক সার্কল, চোখ ফোলায় উপকার মেলে। সারাদিন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার পর চোখে আরামও হয়। হালকা ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ হওয়ার ফলে এটা আপনার চোখের নিচের ত্বককে হাইড্রেট করে। আপনার চোখের চারপাশের পাতলা ও সংবেদনশীল ত্বকেরও কোনও ক্ষতি করে না।
প্রলেপ হিসেবে
অ্যালো জেল খুবই ঘন এবং আঠালো হয়। এর ফলে তা ত্বকের ওপর বসে গিয়ে আর্দ্রতাকে আটকে রাখে এবং ত্বকের রন্ধ্রে ময়লা বা মেক আপের বিরুদ্ধেও একটা সুরক্ষা স্তর তৈরি করে। মেক আপের নিচে ত্বকের পোর ও রন্ধ্রকেও ঢেকে রাখতে পারে।
আরও পড়ুন : সব বয়সের নারীর জন্য সময়কে হার মানানো 5টি গয়না
ত্বকের জ্বালা কমায়
অ্যালোভেরা গাছ থেকে পাওয়া জেল ভিটামিন এ, সি ও ই-তে পরিপূর্ণ যার সবগুলোই হচ্ছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এর অর্থ দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকার ফলে ফ্রি রাডিকালসের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা এবং রোদে পোড়া জায়গাগুলোতে আরাম দেয়।
দাড়ি কাটা ও ওয়্যাক্সিংয়ের পর
শেভিং বা ওয়্যাক্সিংয়ের সময় ব্লেড চলা, টানা বা গরম মোম ঢালার জন্য ত্বকে অনেক সময় জ্বালা করে। অনেক সময়ই দেখা যায় রেজর বার্ন, হালকা পুড়ে যাওয়া অংশ, এবং সবথেকে গুরুতর যেটা, ত্বকের স্তর উঠে আসা। অ্যালো জেল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট হওয়ার ফলে এইসব ছোট ছোট ক্ষতগুলোকে সারিয়ে তোলে ও আরাম দেয়। জলের অংশ বেশি থাকার জন্য এটা ত্বককে শীতল রাখে ও সারিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন : আপনি কি সঠিকভাবে বসেছেন ?
হেয়ার স্টাইলিং জেল
আপনি দোকান থেকে কেনা সিরামের প্রাকৃতিক বিকল্প হিসেবে অ্যালোভেরা জেল দিয়েও চুল ড্যাম্প করতে পারেন। এর পিএইচ লেভেল ৪.৫, যার ফলে হেয়ার কিউটিকলসকে বন্ধ করে দেয় এবং চুল এলোমেলো হতে দেয় না। আর জলীয় অংশ বেশি থাকার কারণে আপনার চুলকে সুস্থ ও হাইড্রেটেড রাখে।
ময়েশ্চারাইজার বা ফেসমাস্ক হিসেবে
অ্যালোভেরা জেলের ৯৮ শতাংশই জল থাকার ফলে এটা দুর্দান্ত হাইড্রেটর এবং সমস্ত ধরণের ত্বকের জন্য হালকা ময়েশ্চারাইজার হিসেবে আদর্শ। এর অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল এবং দহনবিরোধী ক্ষমতার ফলে অ্যাকনে বা ত্বক নষ্ট হওয়া আটকায়। আপনি সহজেই চটজলদি ও দীর্ঘমেয়াদি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে একে ব্যবহার করতে পারেন এবং উজ্জ্বলতা পাওয়ার জন্য একে ফেস মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
হেয়ার কন্ডিশনার
চুল ধোয়ার পর অ্যালোভেরা জেল দিন এবং দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অথবা আপনি একে নারকেল তেল, আমন্ড অয়েলের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করে সুফল পেতে পারেন।