আয়ুর্বেদ প্রাকৃতিক ওষুধের একটি রূপ । আয়ু (জীবন) এবং বেদ (বিজ্ঞান বা জ্ঞান) ৷ জীবনের জ্ঞান বাক্যাংশগুলিই আয়ুর্বেদ শব্দটির মূল অংশ । আয়ুর্বেদ একটি জৈব, ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারা প্রচার করে এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসাবে ভেষজ ব্যবহার করে (Five Tips Use Kumkumadi)। প্রাকৃতিক উপাদান এবং জৈবভাবে প্রাপ্ত পণ্যের গুণমানের কারণে আয়ুর্বেদ হল সেরা বিকল্প যা আপনার ত্বকের ক্ষতি করে না বরং ত্বককে স্বাস্থ্যকর এবং প্রাণবন্ত করে তোলে । দীর্ঘকাল ধরে ত্বকের যত্নের নির্দেশিকা হিসাবে ব্যবহৃত হয় কুমকুমাদি (Kumkumadi Using) ৷ এর আয়ুর্বেদিক উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে জিনসেং, হলুদ, তুলসি, নিম এবং অন্যান্য ।
কী এই কুমকুমাদি ?
এটি একটি উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক উপাদান ৷ এই কুমকুমাদি ভেষজ অমৃত, যা এমন পদার্থের সংমিশ্রণে প্রস্তুত করা হয় যা ত্বকের চিকিত্সার জন্য় ব্যবহৃত হয় (Benefits of Kumkumadi) ৷ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে ৷ আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কুমকুমাদি ব্যবহার করা প্রয়োজন ৷ নীচে কয়েকটি করণ দেওয়া হল ৷
ত্বক উজ্জ্বল করে(Brightens skin): কুমকুমাদি ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে ৷ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তসঞ্চালন এবং নিস্তেজ ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে । ঘুমোনোর ঠিক আগে নিয়মিত কুমকুমদি ব্যবহার করলে দাগ কমে যাবে এবং স্বাভাবিকভাবেই আপনার ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল হবে । কুমকুমাদি জৈবভাবে ব্যবহার করা সমস্ত ত্বকের জন্যই উপকারী ৷
ব্রণ ও পিম্পল প্রতিরোধ করে: কুমকুমাদি ত্বকের সংক্রমণ এবং ব্রণ এবং দাগের মতো প্রদাহজনক অবস্থার চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত উপকারী । বিশেষকরে আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে কুমকুমদি ভালো ফল দেবে ৷ এটি হিউমেক্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করে ও ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং দাগ কমাতে এবং নিরাময়ে শক্তিশালী যাতে আপনি ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ৷
সান ট্যান দূর করে: কুমকুমাদি একটি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন সুরক্ষাকারী হিসাবে কাজ করে । এটি ক্ষতিকারক UVA এবং UVB রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে ।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া পদ্ধতিতে অ্যালোভেরা জেল তৈরির উপায় জেনে নিন
হাইপারপিগমেন্টেশনের চিকিৎসা করে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউস হিসাবে, কুমকুমাদি কোষগুলিকে সংশোধন করার জন্য নির্গত রাসায়নিকগুলিকে উদ্দীপিত করে, যারফলে হাইপারপিগমেন্টেশন (Hyperpigmentation) হয় । এই আয়ুর্বেদিক ভেষজ সমাধান সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে পিগমেন্টেশন পরিচালনা করতে সাহায্য করে । এটি ত্বকে কোমল এবং পিগমেন্টেশনের দাগও দূর করে । এর ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর ত্বক পাওয়া যায় ।
নিরাময়: কুমকুমাদি তাইলাম তার অ্যান্টিসেপটিক, ব্যাকটেরিয়ারোধী এবং জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত । ত্বকের সংক্রমণ বা ক্যান্সারের উন্নতি ছাড়াও, ভেষজ এবং তেলের এই অনন্য মিশ্রণ ক্ষত নিরাময় করে ৷ এছাড়া রঙ্গক, প্রদাহ বা লালভাব নির্গত করে। পাশাপাশি ত্বক হাইড্রেট করে এবং উজ্জ্বল চেহারার ত্বক প্রদান করা ।