ETV Bharat / state

"কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, চাই না হতে রাজকুমার"

উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন ভোটকর্মীরা। তাঁদের দাবি, ভোটের ডিউটিতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকতে হবে। তবেই তাঁরা ভোটের ডিউটি করবেন।

author img

By

Published : Apr 2, 2019, 3:49 PM IST

রায়গঞ্জ, 2 এপ্রিল : "কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, চাই না হতে রাজকুমার।" আজ এই স্লোগান তুলে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলে ভোটকর্মীরা ভোটের প্রশিক্ষণ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, ভোটের সময় প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না হলে তাঁরা ভোটের ডিউটি করবেন না।

শুনেন নিন ভোটকর্মীদের বক্তব্য

আজ সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র ও সারদা বিদ্যামন্দিরে নির্বাচন আধিকারিকরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ঘরে যেতে বলেন। তখন প্রশিক্ষণ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ভোটকর্মীরা। ভোটকর্মীদের আন্দোলনের জেরে কার্যত আজ জেলার বিভিন্ন স্কুলে চলা ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারী এক ভোটকর্মী প্রিয়রঞ্জন পাল বলেন, "রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক প্রেস স্টেটমেন্টে যা বলেছেন তাতে আমরা আতঙ্কিত। তাতে বলা হয়েছে, ভোটকর্মীদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াই ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হবে। আমাদের কাছে রাজকুমারের স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করছে। ফলে আমরা আতঙ্কিত। আমরা মনে করি, আমাদের জীবনও বিপন্ন হতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়া। ফলে আমরা ঠিক করেছি, নো সিকিউরিটি, নো ডিউটি। আমাদের সংক্ষিপ্ত দাবি, আমরা উপযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়া ভোটে যাব না। আমরা প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে দাবি জানাচ্ছি।"

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইটাহারে একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটকর্মী হিসেবে ১৪ মে কাজে যোগ দিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছিলেন রহতপুর হাই মাদ্রাসার শিক্ষক রাজকুমার রায়। ঠিক তার পরদিন রায়গঞ্জের সোনাডাঙি এলাকায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভোটকর্মীরা। সেকারণেই এবার লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়া ভোটের ডিউটিতে যেতে নারাজ উত্তর দিনাজপুর জেলার ভোটকর্মীরা। তাঁরা কেউ আর রাজকুমার হতে চান না। খবর পেয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসেন জেলা নির্বাচন আধিকারিকরা।

রায়গঞ্জ, 2 এপ্রিল : "কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, চাই না হতে রাজকুমার।" আজ এই স্লোগান তুলে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলে ভোটকর্মীরা ভোটের প্রশিক্ষণ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, ভোটের সময় প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না হলে তাঁরা ভোটের ডিউটি করবেন না।

শুনেন নিন ভোটকর্মীদের বক্তব্য

আজ সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র ও সারদা বিদ্যামন্দিরে নির্বাচন আধিকারিকরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ঘরে যেতে বলেন। তখন প্রশিক্ষণ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ভোটকর্মীরা। ভোটকর্মীদের আন্দোলনের জেরে কার্যত আজ জেলার বিভিন্ন স্কুলে চলা ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারী এক ভোটকর্মী প্রিয়রঞ্জন পাল বলেন, "রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক প্রেস স্টেটমেন্টে যা বলেছেন তাতে আমরা আতঙ্কিত। তাতে বলা হয়েছে, ভোটকর্মীদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াই ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হবে। আমাদের কাছে রাজকুমারের স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করছে। ফলে আমরা আতঙ্কিত। আমরা মনে করি, আমাদের জীবনও বিপন্ন হতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়া। ফলে আমরা ঠিক করেছি, নো সিকিউরিটি, নো ডিউটি। আমাদের সংক্ষিপ্ত দাবি, আমরা উপযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়া ভোটে যাব না। আমরা প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে দাবি জানাচ্ছি।"

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইটাহারে একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটকর্মী হিসেবে ১৪ মে কাজে যোগ দিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছিলেন রহতপুর হাই মাদ্রাসার শিক্ষক রাজকুমার রায়। ঠিক তার পরদিন রায়গঞ্জের সোনাডাঙি এলাকায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভোটকর্মীরা। সেকারণেই এবার লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়া ভোটের ডিউটিতে যেতে নারাজ উত্তর দিনাজপুর জেলার ভোটকর্মীরা। তাঁরা কেউ আর রাজকুমার হতে চান না। খবর পেয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসেন জেলা নির্বাচন আধিকারিকরা।

Intro:পুরুলিয়া : এবার পুরুলিয়ার মূল সংস্কৃতি আদিবাসী ও লোকশিল্পীদের নৃত্যগীতের মাধ্যমে শনিবার বলরামপুরে অভিনব প্রচার করল তৃণমূল l শনিবার রাজ্য সরকারের শিল্পীভাতা প্রাপ্ত লোকশিল্পীদের নিয়ে বলরামপুর ব্লক সম্মেলন হল বলরামপুর শহরে l এদিন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের মেন্টর অঘোর হেমব্রমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সভায় প্রায় পাঁচশো শিল্পীর উপস্থিতিতে নানান সাংস্কৃতিক উপস্থাপনায় তৃণমূলের পক্ষে ভোটের প্রচার চালানো হয়। লোকশিল্পীদের প্রায় প্রত্যেকে নিজেদের হাতে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে নাচ-গানের মধ্য দিয়ে প্রচার চালানোর এই অভিনয় কায়দায় সাধারণ মানুষের ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো।Body:12 মে পুরুলিয়া জেলায় লোকসভা নির্বাচন l হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন বাকি l তাই পড়ন্ত রৌদ্রোত্তাপকে উপেক্ষা করে গ্রাম্য সভা ও ব্লক সভার আয়োজনের মাধ্যমে প্রচার জারি রয়েছে তৃণমূলের l তবে এদিন সম্পূর্ণ ভিন্ন কায়দায় প্রচার সারলো তৃণমূল l পুরুলিয়ার বলেমপুরে লোকসংষ্কৃতি উৎসবের মধ্য দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার করলো তারা l এই ব্লকের অন্তর্গত প্রায় সমস্ত সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত লোকশিল্পীদের নিয়ে নৃত্য গীতের মধ্য দিয়ে জনসমাবেশ করে একটি সভা করলো তৃণমূল lConclusion:এ ব্যাপারে এক লোকশিল্পী জানান, "তৃণমূলের শাসনকালে বহু শিল্পী তাদের নিজের পরিচয় পেয়েছে, মাসে মাসে সরকারি ভাতা পাচ্ছে, তাই তৃণমূলের স্বার্থে এই লোকশিল্পীদের প্রচার l অন্যদিকে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ মৃগাঙ্ক মাহাতো জানান, "তৃণমূলের শাসনকালে রাজ্য জুড়ে বহু শিল্পী আজকে নিজেদের স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে l ভাতা পাচ্ছে, বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে l তাই পুরুলিয়ার লোকশিল্পীরা তৃণমূল সরকারকে ভালোবেসে নৃত্য গানের মধ্য দিয়ে তৃণমূলের প্রচার করছেন l"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.