রায়গঞ্জ, 7 ডিসেম্বর: শীতের শহরের অন্যতম উৎসব বইমেলা ৷ আর নতুন বইয়ের আমেজ উপভোগের সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ পাঠককুল ৷ বইপ্রেমীদের জন্য মঙ্গলবার থেকে রায়গঞ্জ শহরে শুরু হল 28 তম উত্তর দিনাজপুর জেলা বইমেলা (Uttar Dinajpur District Book Fair) । বই পাঠের মধ্য দিয়ে সকলকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করার লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে ৷ রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুল মাঠে বসেছে মেলা । এই বইমেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) ৷
এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অভিষেক চৌরাশিয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন, পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস, উপ পৌরপ্রশাসক অরিন্দম সরকার, উত্তর দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অলীপ মিত্র, শুভেন্দু মুখােপাধ্যায়, অভিজিত দত্ত-সহ অন্যান্যরা । বইমেলা চলবে 12 ডিসেম্বর পর্যন্ত ।
আরও পড়ুন: আগামী বছরের শুরুতেই বইমেলা ও চলচ্চিত্র উৎসব, ঘোষণা রাজ্য সরকারের
মোট 60টি স্টল দেওয়া হয়েছে বইমেলায় । যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি কলকাতা থেকেও প্রকাশকরা বইয়ের পসরা নিয়ে এসেছেন । রয়েছে একাধিক সরকারি প্রকল্পের স্টলও । বই বিকিকিনির পাশাপাশি প্রতিদিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার-সহ নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । রোজ দুপুর 12টা থেকে রাত 8টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইমেলা । বইমেলায় এসে সর্বস্তরের মানুষকে বই কেনার আবেদন জানিয়েছেন জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী । সেই সঙ্গে গ্রন্থাগারকে আরও সক্রিয় ও গ্রন্থাগারের পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানোর বিষয়ে জোড় দেন তিনি । এদিন মেলার উদ্বোধনের পর স্টলগুলি ঘুরে দেখেন মন্ত্রী ।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার দু‘টি ডোজের শংসাপত্র দেখালে তবেই মিলবে বইমেলায় ঢোকার ছাড়পত্র
এদিন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) জানান, মোবাইল ব্যবহার যদি সঠিকভাবে না হয় তাহলে অনেক সমস্যা তৈরি হবে ৷ আর বই খুললে যে বইয়ের গন্ধ পাওয়া যায় তা মোবাইল হাতে নিলে পাওয়া যাবে না ৷ পাশাপাশি বরাদ্দ নিয়ে রজ্যের প্রতি 'কেন্দ্রীয় বঞ্চনা' প্রসঙ্গেও সরব হন মন্ত্রী ।