রায়গঞ্জ, 8 জুলাই: পাটখেত থেকে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের হেমতাবাদ থানার ধোয়ারই গ্রামে । মৃত ব্যক্তির নাম নারায়ণ সরকার (55) ৷ তিনি হেমতাবাদ থানার গিয়াশিল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন । শনিবার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমতাবাদ থানার ধোয়ারই গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ সরকার গত 10 বছর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন । এ বারের হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মজিবুর রহমানের পোলিং এজেন্ট ছিলেন তাঁর ছেলে বিপ্লব সরকার । শনিবার সকালে নারায়ণ সরকার ভোট দেওয়ার জন্য গিয়াশিল প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলেন ।
অভিযোগ, তারপর থেকে আর তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি । দুপুরের পরে হেমতাবাদ থানার ধোয়ারই গ্রামের একটি পাঠখেতে তাঁর দেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা । এই খবর জানাজানি হতেই আশপাশ থেকে ছুটে আসেন বহু মানুষ । খবর দেওয়া হয় হেমতাবাদ থানায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হেমতাবাদ থানার পুলিশ । ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে হেমতাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃত নারায়ণ সরকারের ভাইপো সুশীতল সরকার অভিযোগ করে জানিয়েছেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় ৷ খুন করা হয়েছে কাকাকে ৷ তিনি বলেন, "কাকা সকালে ভোট দেওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন । তারপর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি । পরে পাশের গ্রামের একটি পাটখেতে কাকার দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা । তখনই ছুটে গিয়ে দেখি কাকা পাটখেতে পড়ে রয়েছেন ।"
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা কংগ্রেস প্রার্থীকে ধাক্কা ! ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে নির্বাচন বন্ধ ধূপগুড়িতে
কাকার খুনীদের খুঁজে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভাইপো সুশীতল সরকার । অন্যদিকে, হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের-সহ সভাপতি মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত বলেই তৃণমূল সমর্থক নারায়ণ সরকারকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে । হেমতাবাদের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিপ্লব সরকার বলেন, "পুলিশ ঘটনার তদন্ত করলেই বোঝা যাবে কে খুন করেছে ।"