রায়গঞ্জ, 30 মার্চ: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাই নিয়ে বুথ কমিটি বৈঠকের শেষে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ৷ আর সেই সংঘর্ষের বলি তৃণমূল কর্মী ৷ পঞ্চায়েত ভোটের আগে চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও তিন। ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার দিঘিপানা গ্রামের। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম ফাইজুল রহমান (70) ৷
স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে চোপড়া ব্লকের বিভিন্ন বুথে প্রার্থী নিয়ে বৈঠক চলছে। পঞ্চায়েত ভোটে কাকে টিকিট দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে চলছে আলোচনা। বৃহস্পতিবার চোপড়া ব্লকের দিঘিপানা বুথে তেমনই প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠক ছিল। বৈঠকে ঐক্যমত না-হওয়ায় চারজন প্রার্থীর নাম লিপিবদ্ধ হয়। বৈঠক সেরে তৃণমূল কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসছিলেন ফাইজুল রহমান-সহ তাঁর সঙ্গীরা। সেই সময় তাঁদের উপর আচমকাই হামলা চালায় বিরোধী গোষ্ঠী নাসিরের দলবল। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলে গুলিও।
নাসিরের দলবলের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন ফাইজুল রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মী-সহ আরও বেশ কয়েকজন। গুলিতে গুরুতর আহত ফাইজুল রহমানকে তড়িঘড়ি চোপড়া দলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ফাইজুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুলিতে জখম আরও তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, পলাতক অভিযুক্ত
বাকিদের চোপড়া দলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় চোপড়া থানার দিঘিপানা গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে মৃতের পরিবার। মৃতের ছেলের কথায়, খুনের নেপথ্যে দলের 'বিরুদ্ধে গোষ্ঠী' রয়েছে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় চোপড়া থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।