রায়গঞ্জ, 20 জুন: টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বন্টনের অভিযোগ আনলেন চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমান। তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিক্ষুব্ধদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করলেও চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম এই নির্বাচনে টিকিট পাননি ৷ মঙ্গলবার তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল ৷
2018 সালে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদে চার নম্বর আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগমকে। নির্বাচনে প্রায় 48 হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাজকর্ম পছন্দ না হওয়ায় অর্জুনা বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী হয়ে কাজকর্ম করেন।
2023 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিদ্রোহী বিধায়ক করিম চৌধুরীর মনোনীতদের প্রার্থী তালিকার বাইরে রেখেছেন। বাতিলদের মধ্যে স্থান পেয়েছেন 48 হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুন বেগমকেও। শুধুমাত্র করিম চৌধুরী অনুগামী হওয়ার কারণেই অর্জুনাকে জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে প্রার্থী করা হয়নি বলে অভিযোগ।
মেয়েকে প্রার্থী না-করায় জেলা সভাপতিকে এক হাত নিয়েছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। বিধায়কের অভিযোগ, একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন জেলা সভাপতি। চার নম্বর আসনে দল যাঁকে প্রার্থী করেছে সে নিজের এলাকাতেই জিততে পারবে না। বিধায়কের অভিযোগ, "জেলা সভাপতি অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রার্থী করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন ৷" রাজ্যের সমস্ত জেলায় বিধায়কদের প্রার্থী নির্বাচনে প্রধান দায়িত্ব থাকলেও একমাত্র ইসলামপুরের বিধায়ককে সেই দায়িত্বের বাইরে রাখা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট কি বামেদের অক্সিজেন দেবে ? ধন্দে লালদুর্গ
পাশাপাশি, জেলা সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন হামিদুল রহমান। হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম আরেক ধাপ এগিয়ে বলেন, "জেলা সভাপতি আমাদের উপর অবিচার করেছেন। তাই আমি নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।"