ইসলামপুর, 20 এপ্রিল : দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে রায়গঞ্জের ইসলামপুরে বুথকক্ষের ভিতরে ঢুকে ভোটারদের কোথায় ভোট দিতে হবে তা দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে । তারমধ্যে একজন ছিলেন ইসলামপুর ব্লকের রামগঞ্জ 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হামিজ়উদ্দিন । আজ ETV ভারতের সাংবাদিকদের সামনে একথা স্বীকার করে নেন তিনি । কিন্তু, তাঁর কথাবার্তায় একাধিক অসংগতি ধরা পড়েছে ।
নির্বাচনের দিন বুথকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন হামিজ়উদ্দিন । কেউ ভোট দিতে এলেই তাঁকে EVM পর্যন্ত এগিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি । কোথায় ভোট দিতে হবে তা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছিলেন । আর পুরো কাজটাই হচ্ছিল প্রিজ়াইডিং অফিসার ও অন্য ভোটকর্মীদের সামনে । এই রকম একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এপ্রসঙ্গে হামিজ়উদ্দিন একবার বলেন, "আমার বৃদ্ধ মা ও দুই মেয়েকে নিয়ে বুথকক্ষে গেছিলাম। ওরা নতুন ভোটার। তাই কেমন করে ভোট দিতে হয় সেটা EVM মেশিনে দেখিয়ে দিচ্ছিলাম। ওরা কাকে ভোট দিয়েছে তা আমার জানা নেই । "
পরক্ষণেই তিনি বলেন, "প্রিজ়াইডিং অফিসার আমার আত্মীয়। ভোটগ্রহণ চলার সময় উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাই আমি ভোটারদের সাহায্য করছিলাম ।" আবার তিনি বলেন, "আমি ওই বুথের এজেন্ট ছিলাম ।" পরক্ষণেই তিনি বলেন, "ওই বুথের এজেন্ট ছিলেন হাসিমউদ্দিন ।" ফের ভিন্ন কথা বলতে শুরু করেন হামিজ়উদ্দিন । বলেন, "আমার মেয়েরা বলেছিল আমরা মমতা দিদির ভক্ত । সবুজসাথী, কন্যাশ্রী পাচ্ছি । ভোট আমরা তাকেই দেব । তুমি আমাদের বুথকক্ষে নিয়ে চল । আমি তাই তাদের নিয়ে গেছিলাম।" আবার তিনি বলেন, " যারা অন্ধ তারা ভোট কী করে দেবে?" এরপর তিনি বলেন, "আমার বুথে পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী, এজেন্ট, প্রিজ়াইডিং অফিসারের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে ।" হামিজ়উদ্দিন এও জানিয়েছেন, পুনর্নির্বাচন হলে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই ।