কলকাতা, 23 এপ্রিল: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ ঘিরে গত দু'দিন ধরেই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় ৷ যার জের ছড়িয়েছে সারা রাজ্যেই । সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার ফের রণক্ষেত্রের আকার নেয় উত্তর দিনাজপুর ।
তবে এবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ফল শিবিরের মধ্যে বাধল কাজিয়া । এদিন শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা সাংবাদিক বৈঠকে করে অভিযোগ তোলেন যে, এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে । এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক । বিজেপি এই মৃত্যুটাকে ব্যাবহার করে সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করছে ।
পাশাপাশি বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে শশী পাঁজা বলেন, "এই ঘটনা আসার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলনেতা নাবালিকার নাম, ধাম এবং পিতৃ পরিচয় দিয়ে টুইট করে দিলেন । কোনও ঘটনাকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণ বলা হয়ে থাকলে আইন অনুসারে নাম উল্লেখ করা যায় না । এরা আইনের পরিপন্থী । ওরা কি এই ভুল সংশোধন করে ক্ষমা চাইবেন ?" এই অভিযোগ নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
পালটা তৃণমূলকে আক্রমণ করছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । তাঁর বক্তব্য, "আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিচারিতা আবারও সামনে চলে এল । একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস পোষিত পুলিশ বলছে যে এটা ধর্ষণ নয় । এটা আত্মহত্যা । আর অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী বলছেন যে ধর্ষিতার পরিবারের ছবি নাকি আমরা দেখিয়ে দিয়েছি । এরকম অপদার্থ সরকারেরই এরকম অপদার্থ মন্ত্রী হয় । আমরা আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম । তাদের পাশে আমরা দাঁড়াব ৷ তার জন্য যদি আমাদের জেলে যেতে হয় যাব । তৃণমূল কংগ্রেস যদি ভাবে যে সুকান্ত মজুমদারকে জেলে পাঠিয়ে বিজেপিকে ঘরে ঢুকিয়ে দেবে বা আমাদের মুখ বন্ধ করে দেবে সেটা হবে না ।"
আরও পড়ুন : বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট উল্লেখ করে দাবি পুলিশের