ETV Bharat / state

Covid-19 : সরকারি বিধি-নিষেধ শিকেয়, করণদিঘিতে চলছে একাধিক কিন্ডারগার্টেন - করোনার তৃতীয় ঢেউ

করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একাধিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল চালানো হচ্ছে করণদিঘিতে ৷ বেসরকারি এই স্কুলগুলিতে না রয়েছে কোনও কোভিড বিধি, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও ৷ স্কুলের গাড়িতেও গাদাগাদি করে আনা হচ্ছে বাচ্চাদের ৷ আলতাপুরের এমনই একটি নার্সারি স্কুলের কথা জানতে পেরে জেলাশাসকের তরফ থেকে পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ জানানো হয়েছে, এলাকার এমন অন্যান্য স্কুলগুলির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷

করোনার মধ্যেই করণদিঘিতে চলছে একাধিক কিন্ডারগার্টেন
করোনার মধ্যেই করণদিঘিতে চলছে একাধিক কিন্ডারগার্টেন
author img

By

Published : Jul 1, 2021, 12:45 PM IST

রায়গঞ্জ, 30 জুন : করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে যখন চিন্তিত গোটা বিশ্ব, তখন সরকারি বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করেই চলছে স্কুল । উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে রমরমিয়ে চলছে একাধিক কিন্ডারগার্টেন ৷ দূরত্ব বিধি বা মাস্ক ব্যবহারের কোনও বালাই তো নেই-ই ৷ স্কুল চত্বরে একসঙ্গে খেলাও করছে শিশুরা ৷ তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরাও সংক্রামিত হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ এই পরিস্থিতিতে স্কুলে আসা এই বাচ্চাদের কিছু হলে তার দায়িত্ব কে নেবে ? স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে প্রশ্ন ।

করণদিঘি ব্লকের আলতাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঘবপুর-সহ একাধিক গ্রামে দিব্যি চলছে বাচ্চাদের স্কুলগুলি । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্কুলে ছোট ছোট ঘর । সেখানেই গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের । শুধু তাই নয়, স্কুলের নিজস্ব গাড়িতেও ভিড়ে ঠাসাঠাসি করেই চলছে স্কুলে যাতায়াত ৷ সরকারি স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে সেই আগের বছর থেকেই ৷ তার মধ্যেই চালু হয়েছে এই বেসরকারি স্কুলগুলি ৷ অনেক স্কুলের তো এখনও পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনও হয়নি ৷ তাও চলছে স্কুল ৷ আসছে বাচ্চারা ৷

আলতাপুরের এমনই একটি কিন্ডারগার্টেনে বাচ্চাদের পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা ৷ এখনও অবধি স্কুলে রেজিস্ট্রেশন হয়নি ৷ তবে পড়াশোনা চালু রয়েছে ৷ স্কুলের মালিক আবদুল রাইহান বলেন, "এখানে এরকম ভাবে অনেক স্কুলই চলছে ৷ সবাই স্কুল চালাচ্ছে, তাই আমিও চালাচ্ছি ৷ যদি আমাকে বন্ধ করতে বলা হয় তাহলে আমি বন্ধ করে দেব ৷" দূরত্ব বিধি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে আবদুল জানান, তাঁর স্কুলে তিরিশ জন পড়ুয়া রয়েছে ৷ স্কুলে তিনটি ঘর রয়েছে ৷ তাই তিরিশ জন বাচ্চাকে তিনটি ঘরে ভাগ করে বসানো হচ্ছে ৷ তাতে দূরত্ব বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে না ৷ তবে বাস্তবে চিত্রটা আলাদা দেখা গেল ৷ স্কুলে আসা কোনও বাচ্চার মুখেই মাস্ক নেই ৷ স্কুল চত্বরে এক সঙ্গে তাদের খেলার সময় দূরত্ব বিধির ছিটেফোঁটাও থাকছে না ৷

গ্রামবাসী অপূর্বকুমার দাস জানান, তিনি নিজে একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক ৷ তাঁদের স্কুলে নিয়ম মেনেই পঠন-পাঠন বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ তিনি বলেন, "এই বেসরকারি স্কুলগুলির এভাবে খুলে রাখা উচিত হচ্ছে না ৷ একটা বাচ্চারও কিছু হয়ে গেলে তার দায়িত্ব কে নেবে ?"

আলতাপুরের ওই স্কুলটি সম্পর্কে জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা জানান, বিষয়টি জানতে পারার পরই বিডিও, আইসি, এসডিওদের পাঠানো হয়েছে ৷ তাঁরা গিয়ে স্কুলটি বন্ধ করান ৷ বাচ্চাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন ৷ নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে ৷ বাকি আরও যেসব স্কুল চলছে সেগুলির বিরুদ্ধেও দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান জেলাশাসক ৷

আরও পড়ুন : হেমতাবাদে শিশুদের জন্য শিক্ষাশিবির, শিকেয় করোনাবিধি

রায়গঞ্জ, 30 জুন : করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে যখন চিন্তিত গোটা বিশ্ব, তখন সরকারি বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করেই চলছে স্কুল । উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে রমরমিয়ে চলছে একাধিক কিন্ডারগার্টেন ৷ দূরত্ব বিধি বা মাস্ক ব্যবহারের কোনও বালাই তো নেই-ই ৷ স্কুল চত্বরে একসঙ্গে খেলাও করছে শিশুরা ৷ তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরাও সংক্রামিত হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ এই পরিস্থিতিতে স্কুলে আসা এই বাচ্চাদের কিছু হলে তার দায়িত্ব কে নেবে ? স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে প্রশ্ন ।

করণদিঘি ব্লকের আলতাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঘবপুর-সহ একাধিক গ্রামে দিব্যি চলছে বাচ্চাদের স্কুলগুলি । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্কুলে ছোট ছোট ঘর । সেখানেই গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের । শুধু তাই নয়, স্কুলের নিজস্ব গাড়িতেও ভিড়ে ঠাসাঠাসি করেই চলছে স্কুলে যাতায়াত ৷ সরকারি স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে সেই আগের বছর থেকেই ৷ তার মধ্যেই চালু হয়েছে এই বেসরকারি স্কুলগুলি ৷ অনেক স্কুলের তো এখনও পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনও হয়নি ৷ তাও চলছে স্কুল ৷ আসছে বাচ্চারা ৷

আলতাপুরের এমনই একটি কিন্ডারগার্টেনে বাচ্চাদের পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা ৷ এখনও অবধি স্কুলে রেজিস্ট্রেশন হয়নি ৷ তবে পড়াশোনা চালু রয়েছে ৷ স্কুলের মালিক আবদুল রাইহান বলেন, "এখানে এরকম ভাবে অনেক স্কুলই চলছে ৷ সবাই স্কুল চালাচ্ছে, তাই আমিও চালাচ্ছি ৷ যদি আমাকে বন্ধ করতে বলা হয় তাহলে আমি বন্ধ করে দেব ৷" দূরত্ব বিধি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে আবদুল জানান, তাঁর স্কুলে তিরিশ জন পড়ুয়া রয়েছে ৷ স্কুলে তিনটি ঘর রয়েছে ৷ তাই তিরিশ জন বাচ্চাকে তিনটি ঘরে ভাগ করে বসানো হচ্ছে ৷ তাতে দূরত্ব বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে না ৷ তবে বাস্তবে চিত্রটা আলাদা দেখা গেল ৷ স্কুলে আসা কোনও বাচ্চার মুখেই মাস্ক নেই ৷ স্কুল চত্বরে এক সঙ্গে তাদের খেলার সময় দূরত্ব বিধির ছিটেফোঁটাও থাকছে না ৷

গ্রামবাসী অপূর্বকুমার দাস জানান, তিনি নিজে একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক ৷ তাঁদের স্কুলে নিয়ম মেনেই পঠন-পাঠন বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ তিনি বলেন, "এই বেসরকারি স্কুলগুলির এভাবে খুলে রাখা উচিত হচ্ছে না ৷ একটা বাচ্চারও কিছু হয়ে গেলে তার দায়িত্ব কে নেবে ?"

আলতাপুরের ওই স্কুলটি সম্পর্কে জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা জানান, বিষয়টি জানতে পারার পরই বিডিও, আইসি, এসডিওদের পাঠানো হয়েছে ৷ তাঁরা গিয়ে স্কুলটি বন্ধ করান ৷ বাচ্চাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন ৷ নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে ৷ বাকি আরও যেসব স্কুল চলছে সেগুলির বিরুদ্ধেও দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান জেলাশাসক ৷

আরও পড়ুন : হেমতাবাদে শিশুদের জন্য শিক্ষাশিবির, শিকেয় করোনাবিধি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.