রায়গঞ্জ, 16 অগস্ট: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত ইসলামপুর। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে চলল গুলিও। গুলিবিদ্ধ বেশ কয়েকজন। তাঁদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের আতালডাঙি-হাট এলাকায়।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইসলামপুর থানার পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় আতালডাঙি-হাট এলাকায় হঠাৎই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের জেরে চলে গুলি ও বোমাবাজি। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন বেশ কয়েকজন। তাঁদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ আহতদের অভিযোগ, তাঁরা তৃণমূল কর্মী। জেলা পরিষদ আসনে নির্দল প্রার্থীকে ভোট না-দেওয়ার কারণে, তাঁদের ওপরে গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির, সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হকের বিরুদ্ধে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের 4 নম্বর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মৌসুমী খাতুন। তৃণমূলের টিকিট না-পাওয়ায়, নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নেমেছিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে আরজুনা বেগম। নির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী খাতুন। এই প্রার্থীপদ নিয়ে শুরু থেকেই সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। তারই অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আহতরা। সংঘর্ষে আহত মহম্মদ সারোয়ার নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, "আমরা মহম্মদ জাহিদুলের অনুগামী। তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছি। চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাকে আমরা ভোট দিইনি। তাই তার লোকজনেরা আমাদের ওপরে গুলি চালিয়েছে।"
ঘটনার খবর পেয়ে ইসলামপুর হাসপাতালে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, ইসলামপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন, ইসলামপুরের যুব তৃণমূল নেতা কৌশিক গুণ-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তাঁরা অবশ্য এই গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি এড়িয়ে যান। এই ঘটনায় জেলা পরিষদের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী খাতুনের স্বামী মহম্মদ জাহিদুল বলেন," আতালডাঙি এলাকায় আমাদের কিছু লোক বাজার করতে গিয়েছিল। সেখানে তাঁদের উপরে নির্দল সমর্থিত কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় ও গুলি করে। বেশ কিছুদিন ধরেই নির্দল সমর্থিত দুষ্কৃতীরা আমাদের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছিল ৷"
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে বোমাবাজি, জখম পাঁচ আইএসএফ কর্মী