ETV Bharat / state

"ফেলনা দিয়ে খেলনা" পরিবেষ দূষণ রুখতে উদ্যোগ স্কুল শিক্ষকের - বোগ্রাম

"ফেলনা দিয়ে খেলনা" ৷ পরিবেশ দূষণ রোধে এই স্লোগানকে সামনে রেখে ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে সৃজনশীল সামগ্রী তৈরি করে এলাকায় সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছেন রায়গঞ্জ বোগ্রামের বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বিপ্লব মণ্ডল।

ndin
ndin
author img

By

Published : Jun 4, 2020, 5:35 PM IST

রায়গঞ্জ, ৪ জুন : দেশজুড়ে কোরোনা সংক্রমণ রুখতে প্রায় দুই মাস চলেছে লকডাউন ৷ এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন ৷ বন্ধ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ৷ এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ দূষণ রুখতে বাড়ি বসে প্রতিনিয়ত সচেতনতা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন রায়গঞ্জের বোগ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব মণ্ডল ৷ রাস্তায় ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিস দিয়ে একে একে তৈরি করে চলেছেন সৃজনশীল সামগ্রী। হাতের কারুকার্য ও মাথার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করছে মহাপুরুষদের কাট আউট, গৃহসজ্জার সামগ্রী কিংবা শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য খেলনা। বিপ্লববাবু পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ৷ স্কুল বন্ধ থাকায় এই কাজে অনেকটা সময় দিতে পারছেন তিনি ৷

পেশায় শিক্ষক হলেও বিপ্লব মণ্ডলের আরেকটাও পরিচয় রয়েছে ৷ সমাজসেবী বলেও অনেকেই চেনেন তাঁকে ৷ তাঁর এই উদ্ভাবনী প্রতিভার কদর করেন এলাকার বাসিন্দারা। শুধু মাত্র পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ না, কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ও সচেতনতা গড়তে একাধিক ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েছেন বিপ্লববাবু।নিজের তৈরি করা স্যানিটাইজ়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করেছেন ৷ কখন টিশু পেপার দিয়ে মাস্ক তৈরি করেছেন ৷ আবার কখনও লকডাউনের মাঝে গ্রামে কটিকাঁচাদের একঘেয়েমি দূর করতে তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন কোরোনা সচেতনতামূলক বার্তা লেখা কাগজের ঘুড়ি। এমনই অনেক সমাজ সচেতনতামূলক কাজ করে চলেছেন এই শিক্ষক।

টুথপেষ্টের কাগজের খাপ, ধুপকাঠির প্যাকেট, পুরোনো গ্রিটিংস কার্ড, বিবাহ-অন্নপ্রাশনের কার্ড, ওষুধের বাক্স এসব দিয়েই একের পর এক অনবদ্য শিল্প সত্তার জন্ম দিয়ে চলেছেন বিপ্লববাবু। মানুষের ফেলে দেওয়া এসব জিনিস তিনি তৈরি করেছেন খেলনা ফুল, ফল, নানান সব্জি, গাছপালা, পশু-পাখি, মানুষের আকৃতি, ঘর সাজানোর সামগ্রী প্রভৃতি। ফেলনা জিনিস দিয়েই তৈরি করেছেন বহু মনীষীদের কাটআউট। বিপ্লববাবু বলেন, "ফেলনা দিয়ে খেলনা তৈরি করব, এই ভাবনা থেকেই কয়েক বছর ধরে নিজের ইচ্ছেতেই এই কাজ করছি। মূলত মানুষের যেখানে সেখানে ফেলা বর্জ্য জিনিসের জেরে যে পরিবেশ দূষণ ঘটছে তা প্রতিরোধ করায় প্রধান লক্ষ্য ৷

বিপ্লববাবুর এই ধরণের উদ্যোগ ও সমাজসেবামূলক কাজের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত কুমার দাস। তিনি বলেন, "বিপ্লববাবুর একার ব্যক্তিগত উদ্যোগে সমাজ সচেতনতামূলক কাজ বহু মানুষকে সচেতন করেছে।"

রায়গঞ্জ, ৪ জুন : দেশজুড়ে কোরোনা সংক্রমণ রুখতে প্রায় দুই মাস চলেছে লকডাউন ৷ এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন ৷ বন্ধ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ৷ এই পরিস্থিতিতে পরিবেশ দূষণ রুখতে বাড়ি বসে প্রতিনিয়ত সচেতনতা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন রায়গঞ্জের বোগ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব মণ্ডল ৷ রাস্তায় ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিস দিয়ে একে একে তৈরি করে চলেছেন সৃজনশীল সামগ্রী। হাতের কারুকার্য ও মাথার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করছে মহাপুরুষদের কাট আউট, গৃহসজ্জার সামগ্রী কিংবা শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য খেলনা। বিপ্লববাবু পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ৷ স্কুল বন্ধ থাকায় এই কাজে অনেকটা সময় দিতে পারছেন তিনি ৷

পেশায় শিক্ষক হলেও বিপ্লব মণ্ডলের আরেকটাও পরিচয় রয়েছে ৷ সমাজসেবী বলেও অনেকেই চেনেন তাঁকে ৷ তাঁর এই উদ্ভাবনী প্রতিভার কদর করেন এলাকার বাসিন্দারা। শুধু মাত্র পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ না, কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ও সচেতনতা গড়তে একাধিক ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েছেন বিপ্লববাবু।নিজের তৈরি করা স্যানিটাইজ়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করেছেন ৷ কখন টিশু পেপার দিয়ে মাস্ক তৈরি করেছেন ৷ আবার কখনও লকডাউনের মাঝে গ্রামে কটিকাঁচাদের একঘেয়েমি দূর করতে তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন কোরোনা সচেতনতামূলক বার্তা লেখা কাগজের ঘুড়ি। এমনই অনেক সমাজ সচেতনতামূলক কাজ করে চলেছেন এই শিক্ষক।

টুথপেষ্টের কাগজের খাপ, ধুপকাঠির প্যাকেট, পুরোনো গ্রিটিংস কার্ড, বিবাহ-অন্নপ্রাশনের কার্ড, ওষুধের বাক্স এসব দিয়েই একের পর এক অনবদ্য শিল্প সত্তার জন্ম দিয়ে চলেছেন বিপ্লববাবু। মানুষের ফেলে দেওয়া এসব জিনিস তিনি তৈরি করেছেন খেলনা ফুল, ফল, নানান সব্জি, গাছপালা, পশু-পাখি, মানুষের আকৃতি, ঘর সাজানোর সামগ্রী প্রভৃতি। ফেলনা জিনিস দিয়েই তৈরি করেছেন বহু মনীষীদের কাটআউট। বিপ্লববাবু বলেন, "ফেলনা দিয়ে খেলনা তৈরি করব, এই ভাবনা থেকেই কয়েক বছর ধরে নিজের ইচ্ছেতেই এই কাজ করছি। মূলত মানুষের যেখানে সেখানে ফেলা বর্জ্য জিনিসের জেরে যে পরিবেশ দূষণ ঘটছে তা প্রতিরোধ করায় প্রধান লক্ষ্য ৷

বিপ্লববাবুর এই ধরণের উদ্যোগ ও সমাজসেবামূলক কাজের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত কুমার দাস। তিনি বলেন, "বিপ্লববাবুর একার ব্যক্তিগত উদ্যোগে সমাজ সচেতনতামূলক কাজ বহু মানুষকে সচেতন করেছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.