Raiganj School একজন শিক্ষক ও এক পড়ুয়া নিয়ে চলছে রায়গঞ্জের স্কুল - স্কুল রয়েছে কিন্তু পড়ুয়া মাত্র একজন
স্কুল রয়েছে কিন্তু পড়ুয়া মাত্র একজন। আবার উলটোদিকে স্কুলে ওই একজন পড়ুয়ার জন্য শিক্ষকও রয়েছেন একজন। স্কুলে মিড ডে মিলও (Midday Meal) বন্ধ হয়েছে বহুদিন থেকেই। ফলে রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর এফপি স্কুলে তালা বন্ধ থাকে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন। এমতাবস্থায় পরিত্যক্ত স্কুলটিতে সাপ, পোকামাকড়ের উৎপাত দিন কে দিন বেড়েই চলেছে (School Situation at Raiganj)। অবিলম্বে এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
রায়গঞ্জ, 18 অগস্ট: স্কুল যেমন থাকার তেমনই আছে (Raiganj School) ৷ কিন্তু স্কুলে রয়েছে এক জন পড়ুয়া ও একজন শিক্ষক ৷ আর দিন দিন স্কুল পরিণত হচ্ছে সাপের আস্তানায় ৷ বাড়ির সামনে এই স্কুল এড়িয়ে অভিভাবকরা দূরের স্কুলে পড়তে পাঠাচ্ছে বাচ্চাদের ৷ অবিলম্বে এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা (School Situation at Raiganj)। অন্যদিকে, সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কল্যাণী ওরাওঁ।
উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের (Hemtabad) বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন সদ্য রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর কেন্দ্রেই অবস্থিত এই সাহাপুর এফপি প্রাথমিক স্কুলের শোচনীয় পরিস্থিতিতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে শিক্ষা মহলে। স্থানীয় বাসিন্দারা এ বিষয়ে বলেন, "এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগে এলাকার প্রায় সমস্ত ছেলেমেয়েরাই পড়াশোনা করেছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে স্কুলটি প্রায় বন্ধের মুখে। যে একমাত্র শিক্ষক রয়েছেন তিনিও নানা কাজে ঠিকমতো স্কুলে আসতে পারেন না।"
আরও পড়ুন: ছুটিতে স্বদেশে এসে পড়ুয়াদের ইংরেজি শেখাচ্ছে লন্ডনের আরাত্রিকা
উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাইমারি স্কুলের রায়গঞ্জ নর্থ সার্কেলের বিদ্যালয় পরিদর্শক কল্যাণী ওরাওঁ বলেন, "এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের নির্দেশ মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার মধুরিমা রায় নামে একজন ছাত্রী চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। মাস খানেক আগেও দু'জন পড়ুয়া ছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুলটি ঠিক মতো না থাকায় অনেকটা দূরে যে একম্বা সাহাপুর প্রাইমারি স্কুল রয়েছে সেখানে বাচ্চাদের পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন অভিভাবকরা ৷