রায়গঞ্জ,25 মে : সোশাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের মাধ্যমে গুজব রুখতে তৎপর রায়গঞ্জ পুলিশ । দিনরাত 24 ঘণ্টা বিভিন্ন বিতর্কিত সোশাল মিডিয়ার ওপর নজরদারি চালাচ্ছে এই টিমের সদস্যরা। কোথাও কোনও বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে অত্যাধিক শোরগোল হলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট থানায় আধিকারিকরা গিয়ে অবস্থা সামলাচ্ছেন। এই ভাবেই মূলত রায়গঞ্জ জেলায় সোশাল মিডিয়ায় এলাকার গুজব রুখতে চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। কোনওভাবেই যাতে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজবের আগুন না ছড়িয়ে পড়ে তার দিকে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছেন টিমের সদস্যরা।
কোরোনাভাইরাস নিয়ে দিনরাত জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের আধিকারিকরা নানা ভাবে সচেতন করার চেষ্টা করলেও মূলত গুজব একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের কাছে। যেহেতু এই ধরনের পরিস্থিতি কোনওদিনই সাধারণ মানুষ দেখেননি। তাই যেকোনও ধরনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রচুর কৌতূহল রয়েছে মানুষের মধ্যে। আর সেই কৌতূহল থেকেই জন্ম নেয় নানা ধরনের গুজব ।কিছু অতি উৎসাহী মানুষ সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের এই কৌতূহলের বিষয় গুলিকে তুলে ধরতে চাওয়ায় সমস্যা বাড়ে পুলিশ এবং প্রশাসনের। এই অবস্থা সামাল দিতেই রায়গঞ্জ পুলিশ জেলা এই নতুন দলটি তৈরি করেছে।মূলত সাইবার ক্রাইম থানার সাহায্য নিয়েই এই বিশেষ দলটি দিন রাত 24 ঘণ্টা সোশাল মিডিয়ার নানান বিতর্কিত পোস্টের উপর নজরদারি চালাচ্ছে।পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের একাংশের দাবি, বর্তমান সময়ে পুলিশ সাধারণ মানুষের সঙ্গে আন্তরিকভাবে এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। তার ফলে অনেকটাই বেশি মনোবল বৃদ্ধি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, "আমরা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য একটি বিশেষ টিম তৈরি করেছি। সোশাল মিডিয়া মনিটরিং টিম নামের ওই দলটি সোশাল মিডিয়ার নানা ধরনের বিতর্কিত পোস্টের উপর নজরদারি রাখছে। কোথাও কোন সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট থানার আধিকারিকদের মাধ্যমে তা মেটানো হচ্ছে।" এছাড়াও পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিক ভাবে এই বর্তমান সময়ে কোরোনাভাইরাস নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে। যার ফলে সমস্যা আরও বেশি সমাধান হচ্ছে সহজেই বলে তিনি জানান।