রায়গঞ্জ,9 মে : লকডাউনে চিকিৎসকদের চেম্বারের যেন চরিত্র বদল হয়েছে । আগে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্যে চিকিৎসকের কাছে আসতেন।বর্তমানে বেশিরভাগ রোগী মানসিক অবসাদ কিংবা দুশ্চিন্তায় ভুগে মূলত আসছেন চিকিৎসকের কাছে। কেউ ভাবছেন তাঁর নিউমোনিয়া হয়েছে ।আবার কারও কিছু না হওয়া সত্ত্বেও বুকে ব্যথা অনুভব হচ্ছে। কারও আবার অত্যাধিক পরিমাণে গ্যাসট্রিকের সমস্যা । সবকিছুই মূলত ঘরে থেকে দুশ্চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
রোগের চিকিৎসার জন্যই মানুষ চিকিৎসকের কাছে আসেন। চিকিৎসকেরা রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা করে থাকেন। তবে বর্তমানে কোরোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করছেন রায়গঞ্জের চিকিৎসকেরা ।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কোনও রোগ হয়েছে ধরে নিয়েই তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের কাছে আসছেন মানুষ। কারও কিছু উপসর্গ না থাকলেও হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করছেন ।আবার কেউ হালকা সর্দি কাশিকে নিউমোনিয়ার সঙ্গে তুলনা করে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হচ্ছেন ।তবে খুবই হালকা মেজাজে চিকিৎসকেরা তাঁদের দুশ্চিন্তার কথা বুঝতে পেরে ভালোভাবে কাউন্সিলিং করে বাড়ি পাঠাচ্ছেন ।
বর্তমানে রায়গঞ্জের প্রায় বেশিরভাগ চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ রয়েছে। মূলত জমায়েত এড়াতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে চিকিৎসকরা এখনও রোগী দেখছেন, তাঁদের কাছে মূলত কোরোনা আতঙ্কে ভুগে রোগীরা ভিড় করছেন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জের চিকিৎসক শান্তনু দাস বলেন, "আমাদের কাছে যে সকল রোগীরা বর্তমানে আসছেন তাঁরা বেশিরভাগই ভুগছেন দুশ্চিন্তায়। কেউ ভাবছেন, তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে। আবার কেউ সামান্য সর্দি-কাশি কে নিউমোনিয়ার সঙ্গে তুলনা করে আমাদের কাছে আসছেন ।মূলত বাড়িতে থেকে বিভিন্ন ধরনের কোরোনা সম্পর্কে নানা রকম খবর দেখার পর এই ধরনের দুশ্চিন্তা তাঁদের গ্রাস করছে ।"