রায়গঞ্জ, 5 নভেম্বর : এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে । উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ঘটনা । অভিযোগ, ঘটনার পর ওই মহিলার বাপের বাড়ির লোকেরা মারধর করে স্বামী ও তাঁর শাশুড়িকে । ঘটনায় দু'জনকেই জখম অবস্থায় রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভরতি করা হয় ।
বাপের বাড়ির অভিযোগ, ওই মহিলাকে জোর করে মদ খাওয়ায় তাঁর স্বামীর জামাইবাবু । এরপর জোর করে অন্য দুই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁকে শারীরিক সম্পর্ক করানোর অভিযোগ ওঠে । আরও অভিযোগ, ওই মহিলা বাধা দিতে গেলে তাঁর গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয় । ঘটনার পরই ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকেরা তাঁর স্বামী ও পরিবারের লোকেদের এসে বেধড়ক মারধর করে । এমনকী বাড়িঘর ভাঙচুর করারও অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে । ঘটনায় গুরুতর জখম হয় তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি । বর্তমানে তারা রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
অপরদিকে, মৃতের মাকে নিজেদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছে BJP। ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পথ অবরোধ করে তারা । পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয় ।
অপরদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, শাশুড়ি জোর করে ওই গৃহবধূকে দেহ ব্যবসার কাজে নামাতে চেয়েছিল। ওই গৃহবধূ রাজি না হওয়ায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয় । এরপর তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় । ওই গৃহবধূর এক আত্মীয়ের দাবি, " স্বামী, জামাইবাবু ও আরও দু'জন ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত । বিয়ের পর থেকেই তাঁর শাশুড়ি অত্যাচার চালাত । ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চাই আমরা ।" যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই গৃহবধূর স্বামী । সে বলে, "আমার স্ত্রী নিজে থেকেই মদ্যপান করছিল । কেউ জোর করেনি । মদ্যপান করায় রাগের মাথায় তাঁকে সামান্য বকাঝকা করি । এই ঘটনার জেরে সে আত্মহত্যা করে । "
এবিষয়ে কালিয়াগঞ্জ থানার IC বলেন, " একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । আমরা এবিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি । "
