রায়গঞ্জ, 12 মে : লকডাউন চললেও থেমে নেই অপরাধ । এইবার রায়গঞ্জে । বৃদ্ধকে একের পর এক কোপ মেরে খুনের অভিযোগ তাঁরই ছোটো ছেলের বিরুদ্ধে । মৃতের নাম মরণচন্দ্র দাস(64) । তাঁর ছোটো ছেলে নীলকান্ত দাসকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । অভিযোগের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ । নীলকান্ত মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন মরণবাবুর স্ত্রী ।
রায়গঞ্জ ব্লকের টেনহরি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন মরণচন্দ্র দাস । পেশায় কৃষক মরণবাবু বাড়ির লাগোয়া জমিতে চাষের কাজ করতেন । স্ত্রী মালতিরানি দাস ও ছোটো ছেলে নীলকান্ত দাস এবং বড় ছেলের স্ত্রী ও সন্তান নিয়েই তাঁর পরিবার । আজ সকালে বাড়ির কাজ করার সময় হঠাৎ মরণবাবুর চিৎকার শুনতে পান স্ত্রী । ছুটে ঘরের সামনে আসেন । দেখেন তাঁর ছোটো ছেলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে একের পর এক কোপ মেরে চলেছে মারণবাবুকে । রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে । সামনে গেলে তাঁর হাতেও দুটো কোপ মারে নীলকান্ত বলে জানিয়েছেন মালতি দেবী ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চিৎকার করে প্রতিবেশী এবং বড় ছেলের স্ত্রীকে ডাকেন মালতি দেবী । কিন্তু নীলকান্তর হাতে অস্ত্র থাকায় কেউ সামনে যেতে সাহস পায়নি । এরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মরণবাবু । মৃতদেহ দেহ ফেলে পিছনের চাষের জমি দিয়ে পালিয়ে যায় নীলকান্ত । প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয় । ঘটনাস্থানে পৌঁছায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ । এরই মধ্যে প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত নীলকান্তকে স্থানীয় এলাকা থেকে ধরে ফেলে । তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নীলকান্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মালতি দেবী বলেন, “আমি দেখতে পাই আমার ছেলে সকালে স্বামীর উপর দা দিয়ে কোপ বসাচ্ছে। ভয় পেয়ে তাকে আটকাতে গেলে সে আমার হাতেও কোপ বসিয়েছিল । এরপরই স্বামী লুটিয়ে পড়েন আর ছেলে পালিয়ে যায় । প্রতিবেশী পুলিশে খবর দিলে পরবর্তীতে পুলিশ আসে । আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল । দিল্লিতে চিকিৎসা চলছিল । কেন হঠাৎ এইভাবে বাবার ওপর চড়াও হল বুঝতে পারছি না ।”
মানসিক ভারসাম্যহীন নীলকান্ত তাই তার জেরেই এই খুন, না কি পারিবারিক বিবাদ বা অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ । আপাতত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে । মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ ।