রায়গঞ্জ, 7 জুন : রাজ্যজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতির জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ঢেঁড়শ চাষিরা ৷ তাঁদের দাবি, একে অতিবৃষ্টিতে ঢেঁড়শের ফলন এবছর কম হয়েছে, তার উপর লকডাউন পরিস্থিতির জন্য বাজার সেভাবে না বসায় কম দামে ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে ৷ বহু কৃষকই ঋণ নিয়ে ঢেঁড়শ চাষ করেছেন ৷ অথচ এখন চাষের খরচটুকুই উঠছে না ৷ মহাজনের ঋণ পরিশোধ করবেন কীভাবে ? কীভাবেই বা চলবে সংসার ? ভেবে উঠতে পারছেন না কৃষকরা ৷
উত্তর দিনাজপুর জেলায় ধান, গম, ভুট্টার পাশাপাশি নানা ধরনের সবজি চাষও প্রচুর পরিমাণে হয় ৷ সবজি চাষ মূলত রায়গঞ্জ ব্লকেই বেশি হয়ে থাকে ৷ সবজি চাষের মধ্যে ঢেঁড়শ অন্যতম ৷ ফলনও হয় ভালোই ৷ চলতি বছরও গ্রামের পর গ্রাম, ক্ষেতজুড়ে হয়েছে ঢেঁড়শের চাষ ৷
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে রাজ্যজুড়ে নানা বিধিনিষেধ কার্যকর করেছে সরকার ৷ যার জেরে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন ঢেঁড়শ চাষিরা ৷ রায়গঞ্জ ব্লকের উৎপাদিত ঢেঁড়শ জেলার বাইরে, এমনকী কলকাতাতেও পাইকারি দামে বিক্রি করেন কৃষকরা ৷ কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতির জেরে বাইরের পাইকাররা রায়গঞ্জে আসছেন না ৷
এর ফলে জেলার বাইরে ঢেঁড়শ বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা ৷ বদলে রায়গঞ্জের স্থানীয় বাজারগুলিতেই অতি অল্প দামে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন : লকডাউন পরিস্থিতিতে নেশায় বুঁদ যুব সমাজ, চিন্তা বাড়ছে পরিজনদের
রায়গঞ্জের ঢেঁড়শ চাষি মণিমোহন রায়, অমর নন্দীরা জানিয়েছেন, লকডাউন পরিস্থিতির জন্য বাইরে থেকে পাইকাররা না আসায় খুবই কম দামে রায়গঞ্জের বাজারে ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁদের ৷ মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে এখন দাম না মেলায় চাষের খরচটুকুই উঠছে না ৷ কীভাবে মহাজনের ঋণ পরিশোধ করবেন, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা ৷