ইসলামপুর,1 জুন : চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠছিল বারবার । কথাটা কানে গেছিল মন্ত্রীরও । তাই স্বচক্ষে বিষয়টি দেখতে সটান হাসপাতালে হাজির পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি । নজরে আসে একাধিক অব্যবস্থা । ঘটনাটি ইসলামপুর জেলা হাসপাতালের ।
শনিবার রাত তখন ১১টা । হাসপাতালে ঢুকেই বিছানাটির দিকে নজর পড়ে মন্ত্রীর । দেখেন, এক বৃদ্ধা শুয়ে আছেন । মাথায় ব্যান্ডেজ । দেখেই ওই অসুস্থ বৃদ্ধার কাছে যান রাব্বানি । তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন নানা প্রশ্ন । জানতে চান কী সমস্যা । মাথায় চোট লেগেছে দেখেই এরপরেই মন্ত্রীর প্রশ্ন ছিল সিটি স্ক্যান হয়েছে কি না ? উত্তর শুনেই মেজাজ হারান তিনি । কেনও সিটি স্ক্যান হয়নি তা জানতে চান সংশ্লিষ্ট নার্সের কাছে । আমতা আমতা করে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই নার্স । কিন্তু, সেই উত্তরে মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি মন্ত্রী । ততক্ষণে পুরো খবর পৌঁছে গেছে সুপার নারায়ণ মিদ্যা এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে । মন্ত্রী এসেছেন শুনে হন্তদন্ত হয়ে তাঁরাও উপস্থিত হন সেখানে । মন্ত্রীর কাছে শুনতে হয় বকাঝকাও । পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে রব্বানিকে শান্ত করার চেষ্টাও করতে দেখা যায় তাঁদের । মন্ত্রী যখন হাসপাতাল পরিদর্শনে, তখন পাশে উপস্থিতি ইসলামপুরের পৌরপ্রধান তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ।
এত কিছুর পরে অবশ্য কেবল পরামর্শ দিয়েই ফিরে যান রব্বানি । একই সঙ্গে তার দাবি, "চিকিৎসা ভালো হচ্ছে।" তবে, পরিষেবা আরও ভালো করার কথাও বলেন তিনি । ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত অভিযোগ যাতে না ওঠে সেদিকেও নজর রাখতে বলেন । বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী । যদিও, চিকিৎসায় গাফিলতি, অব্যবস্থা বা মন্ত্রীর পরিদর্শন নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
সম্প্রতি চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এই হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। পরে অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে হাসপাতাল পরিদর্শনের পর মন্ত্রী বলেন, "চিকিৎসা ভালো হচ্ছে । তবে যেন আরও ভালো হয় সেই চেষ্টা করার কথা বলেছি । চিকিৎসকরা আমাকে কথা দিয়েছেন তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন । আমরা আরও চাই চিকিৎসা চলাকালীন যাতে বাইরের লোক ভেতরে ঢুকে কোন ঝামেলা না বাধায় । সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে । আশা করি রোগী ও তার পরিজনেরা চিকিৎসা পরিষেবা ভালো পাবেন ।"