রায়গঞ্জ, 16 মে : এমনিতেই বেসরকারি বাস পরিষেবা ধুঁকছিল, এবার লকডাউনের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়লেন উত্তর দিনাজপুর জেলার বহু বাসকর্মী থেকে অন্যান্য যানবাহনের কর্মীরা । এই লকডাউনে সরকার যদি কোনও উদ্যোগ না নেয় তবে না খেয়ে মরতে হবে বেসরকারি বাস কর্মীদের । তাই তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এই লকডাউনে বেসরকারি বাস কর্মীদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসুক সরকার ৷ বাস মালিক সংগঠন, উত্তর দিনাজপুর বাস মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, এমনিতেই লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে তারা বাস পরিষেবা দিয়ে চলছিলেন, এখন লকডাউনের জেরে তাদের পক্ষে কর্মীদের ব্যয়ভার চালানো সম্ভব নয় । ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার বহু বেসরকারি বাস কর্মী ।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে রাজ্য সরকার 16 মে থেকে 30 মে পর্যন্ত প্রায় লকডাউনের ঘোষণা করেছে । সেই মতো রবিবার থেকে রাস্তায় চলছে না কোনও সরকারি বেসরকারি যানবাহন । স্বাভাবিকভাবেই বেসরকারি বাস ও অন্যান্য যানবাহনের কর্মীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন । উত্তর দিনাজপুর জেলায় রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ও ইসলামপুর থেকে 300টি বাস ও মিনিবাস চলাচল করে মালদা, শিলিগুড়ি ও বালুরঘাটের উদ্দেশ্যে । এই বেসরকারি বাসগুলিতে চালক, কন্ডাকটর ও বাস কর্মী মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষের রুটি রুজি নির্ভর করে । রাজ্য সরকারের কার্যত এই লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন বাসকর্মীরা । বেসরকারি বাসের এক কন্ডাকটর জানিয়েছেন, এমনিতেই করোনা আবহে মালিকেরা লোকসান করে হলেও তাঁদের পেটের ভাতের জোগাড় করেছেন বাসগুলো চালিয়ে । কিন্তু লকডাউনের জেরে রাস্তায় বাস নামাতে না পারায় তাঁরা কর্মহীন হয়ে পড়লেন । এই কাজ করেই তাঁদের সংসার চলে । এখন কীভাবে পেটের ভাতের জোগাড় হবে, সেই চিন্তা গ্রাস করেছে বাসকর্মীদের ।
আরও পড়ুন : আজ থেকে কার্যত লকডাউন রাজ্যে, কী কী থাকছে বন্ধ, কী কী থাকবে খোলা;দেখে নিন
উত্তর দিনাজপুর বাস মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক জানিয়েছেন, করোনা আবহ থাকায় যাত্রী না মেলায় তাঁরা প্রায় প্রতিদিনই লোকসানের মধ্যেই রাস্তায় গাড়ি নামিয়েছিল ৷ কিন্তু এখন লকডাউন হওয়াতে রাস্তায় বাস নামানো বন্ধ । ফলে বাড়িতে বসিয়ে তাঁদের পক্ষে স্টাফদের বেতন দেওয়া সম্ভব নয় । বাস কর্মীদের এই সমস্যার বিষয়টি সরকারের দেখা উচিত বলে জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠন ।