ETV Bharat / state

বাড়ি ফিরতে জমানো টাকা পুরোটাই খুইয়েছেন ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা - Raiganj migrant labourers

যেটুকু টাকা জমিয়েছিলেন কাজে গিয়ে, তার পুরোটা দিয়ে ফিরে এসেছেন রাজ্যে । কেউ দশ হাজার, কেউ সাত হাজার টাকা খরচ করে বাড়ি ফিরেছেন । কিন্তু রাজ্যে ফিরেও কাটছে না চিন্তার মেঘ ।

Migrant labourers problem in raiganj
চিন্তায় ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকরা
author img

By

Published : Jul 26, 2020, 2:54 AM IST

রায়গঞ্জ, 25 জুলাই : মাটির উনুন । তাতেই রান্না হচ্ছে । পটল ভাজছে । ওই দিয়েই দুপুরের খাওয়াটা হবে । রাতে কী খাবে ! আদৌ খাওয়া হবে কি না, জানা নেই । মাসখানেক আগেও ওঁদের অবস্থাটা এমন ছিল না । মোটামোটি স্বচ্ছলভাবেই দিন কাটত । কেউ থাকতেন দিল্লিতে, কেউ হরিয়ানায় । কাজ করতেন সেখানেই । কিন্তু বাধ সাধল কোরোনা । কোরোনার আতঙ্কে যেটুকু যা সঞ্চয় ছিল, তা দিয়েই বাড়ি ফিরে এসেছেন । 10 হাজার, কেউ 7 হাজার টাকা খরচ করে বাড়ি ফিরেছেন ।

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই জেলায় ফিরতে শুরু করেছিলেন ভিন রাজ্য কর্মরত বহু মানুষ । গোটা জেলা মিলিয়ে 1 লাখ 23 হাজারেরও বেশি মানুষ ফিরেছেন । তাঁদের মধ্যে রায়গঞ্জ মহকুমায় শ্রমিকের সংখ্যাটা প্রায় 30 হাজার । শ্রমিক স্পেশালে ফিরেছেন 17 হাজারেরও বেশি মানুষ । আর একেবারে নিজস্ব খরচে ফিরেছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ ।

সরকারের তরফে শ্রমিক স্পেশাল চালু করা হয়েছিল বটে । কিন্তু তারপরেও নিজেদের জমানো টাকার প্রায় সবটুকু খরচ করে বাড়ি ফিরেছিলেন একাধিক শ্রমিক । রায়গঞ্জ শহরে দিল্লি থেকে 11 টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন এসেছিল । বিভিন্ন রাজ্য থেকে কমবেশি প্রায় তিনশোটি বাস ঢুকেছে রায়গঞ্জে । তবে বাড়ি ফিরেও কাজ নেই । শুধুমাত্র হতাশাই জুটেছে ভাগ্যে ।

Migrant labourers problem in raiganj
বাড়ি ফিরেও চিন্তা কাটছে না

রায়গঞ্জ ব্লকের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রারিয়া গ্রাম থেকে বরাবরই ভিন রাজ্যে গিয়ে শ্রমিকেরা কাজ করে থাকেন । কেউ রাজমিস্ত্রির জোগান দেওয়ার কাজ করেন । আবার কেউ গ্রিল ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন । কেউ বাড়ি পরিচারিকা হিসেবে কাজ করেন । আবার কেউ হাউসকিপিংয়ের কাজে অল্পস্বল্প অর্থ উপার্জন করেছিলেন । দিল্লি, গুরগাঁও, নয়ডা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন তাঁরা । চেয়েছিলেন পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে ।

রাজ্যে ফিরেও নেই কর্মসংস্থান

তবে কোরোনা এত লহমায় সব চিন্তাভাবনা উলটে পালটে তছনছ করে দিয়েছে । দিনভর হাড়ভাঙা খাটুনি করে বছরের পর বছর অল্প অল্প করে সঞ্চয় করেছিলেন পরিবার পরিজনদের জন্য । উদ্ভুত কোরোনা পরিস্থিতির জেরে লকডাউন শুরু হতেই চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা । নানা মহল থেকে বিভিন্ন ধরনের জল্পনা শুরু হওয়ার পর সত্যিই খানিকটা ভয় পেয়ে গেছিলেন ভিন রাজ্যে কর্মরত ওই শ্রমিকেরা । ট্রেন বন্ধ । আন্তঃরাজ্য সড়ক পরিবহনও বন্ধ । তাও লকডাউনকে ফাঁকি দিয়ে যেসব বাস-লরি-ট্রাক চলাচল করেছে, তাতেই রাজ্যে ফিরেছেন ওঁরা । যে যা পেয়েছেন তাতেই ফিরে এসেছেন বাড়ির পথে । কোনওভাবে লকডাউন পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য শেষ হয়েছে সম্পূর্ণ সঞ্চয় ।

আর এই সময়ে বাস - লরি চালকরাও পুরো সুযোগ নিয়েছেন । কখনও সাত হাজার, কখনও দশ হাজার, কখনও বা বারো হাজার । যে যেমন পেরেছে লুঠে নিয়েছে । জমানো সবটুকু টাকা খুইয়ে রাজ্যে ফিরেছেন তাঁরা । কিন্তু রাজ্যে ফিরেও কাজ পাচ্ছেন না সেভাবে । অভিযোগ রয়েছে, সরকারি সাহায্য ঠিকভাবে মিলছে না । চাল-ডাল অবশ্য পেয়েছেন তাঁরা । তবে নেই কোনও কর্মসংস্থান । খুব স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত রায়গঞ্জ ব্লকে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকেরা । এখন বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতেও ভয় লাগে ওঁদের । কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার যদি তাঁদের কর্মসংস্থানের কিছু একটা ব্যবস্থা করে, তবে ফের বাঁচার আশা পায় ওঁরা ।

পঞ্চায়েত সমিতির তরফে অবশ্য কর্মসংস্থান নিয়ে সমস্যার কথাটা কিছুটা মেনে নেওয়া হয়েছে । বলা হয়েছে, যেসব পরিযায়ী শ্রমিকেরা 100 দিনের কাজের জন্য আবেদন করেছেন তাঁদেরকে কাজ দেওয়া হয়েছে । তবে অনেকেই এই ধরনের কাজের সঙ্গে অভ্যস্ত নন । ফলে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা ।

ভিন রাজ্য ফেরত শ্রমিকদের একাংশ বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার যদি কৃষি ঋণ মকুব করে, তবে একটু নিশ্চিতভাবে বাঁচতে পারবেন তাঁরা ।

হরিয়ানা থেকে ফিরে আসা এক শ্রমিক সুকেশ প্রামাণিক বলেন, "লকডাউনের মধ্যে 10 হাজার টাকা খরচ করে গাড়ি ভাড়া করে বাড়ি ফিরেছি । যা সঞ্চয় ছিল তা যাতায়াতের পথে খরচ হয়ে গেছে । বাড়ি ফিরে আসার পর কোনও কাজের সন্ধান পাচ্ছি না । যদি আগামীতে সরকার আমাদের কথা চিন্তা করে কিছু সাহায্য করে, তবে আমরা উপকৃত হব ।"

অন্য এক শ্রমিক নরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, "দিল্লিতে হাউসকিপিং-এর কাজ করতাম । সেখানে গিয়ে কিছুটা উপার্জন করার জায়গা তৈরি হয়েছিল । কিন্তু লকতডাউনের মধ্যে সাড়ে সাত হাজার টাকা খরচ করে ফিরে আসতে হয়েছে । যেটুকু সঞ্চয় করেছিলাম তাও শেষ হয়ে গেছে । স্থানীয় প্রশাসন আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকালে আমরা অনেক বেশি উপকৃত হব ।"

লকডাউনের শুরুতে রাজ্যে ফেরার জন্য বাসের ভাড়া চাইছিল সাত হাজার থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা । কিন্তু এত টাকা দিয়ে বাসভাড়া দিয়ে আসার টাকা ছিল না শক্তি সরকারের । অপেক্ষা করছিলেন কবে ভাড়া কমবে । তিনি বলেন, "আমি এবং আমার স্বামী দু'জনে দিল্লিতে থাকতাম । সেখান থেকে বহু টাকা খরচ করে আমাদের ফিরে আসতে হয়েছে । আমাদের সঞ্চিত টাকা যা ছিল, সমস্তটাই শেষ হয়ে গেছে । শুনেছিলাম স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সাহায্য করবে । কিন্তু এখনও পর্যন্ত চাল, আলু ছাড়া অন্য কিছু সাহায্য পায়নি ।"

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মানস ঘোষ বলেন, "এটা শুধুমাত্র রায়গঞ্জ ব্লকের সমস্যা নয় । সমগ্র দেশে একই সমস্যা । আমাদের রাজ্যে তবুও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কাজের সংস্থান করেছি । অন্যান্য জায়গায় সেটাও নেই । যেসকল পরিযায়ী শ্রমিক আমাদের কাছে কাজের আবেদন করেছেন তাদেরকে আমরা কাজ তৎক্ষণাৎ দিয়েছি । আমাদের মনে হয় কেন্দ্রীয় সরকার যদি কৃষি ঋণ মুকুব করে দিত, সেক্ষেত্রে এই সব শ্রমিকের নিজেদের জমিতে কিছু চাষবাস করে অবশ্যই ভালো থাকতে পারত ।"

রায়গঞ্জ, 25 জুলাই : মাটির উনুন । তাতেই রান্না হচ্ছে । পটল ভাজছে । ওই দিয়েই দুপুরের খাওয়াটা হবে । রাতে কী খাবে ! আদৌ খাওয়া হবে কি না, জানা নেই । মাসখানেক আগেও ওঁদের অবস্থাটা এমন ছিল না । মোটামোটি স্বচ্ছলভাবেই দিন কাটত । কেউ থাকতেন দিল্লিতে, কেউ হরিয়ানায় । কাজ করতেন সেখানেই । কিন্তু বাধ সাধল কোরোনা । কোরোনার আতঙ্কে যেটুকু যা সঞ্চয় ছিল, তা দিয়েই বাড়ি ফিরে এসেছেন । 10 হাজার, কেউ 7 হাজার টাকা খরচ করে বাড়ি ফিরেছেন ।

লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই জেলায় ফিরতে শুরু করেছিলেন ভিন রাজ্য কর্মরত বহু মানুষ । গোটা জেলা মিলিয়ে 1 লাখ 23 হাজারেরও বেশি মানুষ ফিরেছেন । তাঁদের মধ্যে রায়গঞ্জ মহকুমায় শ্রমিকের সংখ্যাটা প্রায় 30 হাজার । শ্রমিক স্পেশালে ফিরেছেন 17 হাজারেরও বেশি মানুষ । আর একেবারে নিজস্ব খরচে ফিরেছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ ।

সরকারের তরফে শ্রমিক স্পেশাল চালু করা হয়েছিল বটে । কিন্তু তারপরেও নিজেদের জমানো টাকার প্রায় সবটুকু খরচ করে বাড়ি ফিরেছিলেন একাধিক শ্রমিক । রায়গঞ্জ শহরে দিল্লি থেকে 11 টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন এসেছিল । বিভিন্ন রাজ্য থেকে কমবেশি প্রায় তিনশোটি বাস ঢুকেছে রায়গঞ্জে । তবে বাড়ি ফিরেও কাজ নেই । শুধুমাত্র হতাশাই জুটেছে ভাগ্যে ।

Migrant labourers problem in raiganj
বাড়ি ফিরেও চিন্তা কাটছে না

রায়গঞ্জ ব্লকের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রারিয়া গ্রাম থেকে বরাবরই ভিন রাজ্যে গিয়ে শ্রমিকেরা কাজ করে থাকেন । কেউ রাজমিস্ত্রির জোগান দেওয়ার কাজ করেন । আবার কেউ গ্রিল ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন । কেউ বাড়ি পরিচারিকা হিসেবে কাজ করেন । আবার কেউ হাউসকিপিংয়ের কাজে অল্পস্বল্প অর্থ উপার্জন করেছিলেন । দিল্লি, গুরগাঁও, নয়ডা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন তাঁরা । চেয়েছিলেন পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে ।

রাজ্যে ফিরেও নেই কর্মসংস্থান

তবে কোরোনা এত লহমায় সব চিন্তাভাবনা উলটে পালটে তছনছ করে দিয়েছে । দিনভর হাড়ভাঙা খাটুনি করে বছরের পর বছর অল্প অল্প করে সঞ্চয় করেছিলেন পরিবার পরিজনদের জন্য । উদ্ভুত কোরোনা পরিস্থিতির জেরে লকডাউন শুরু হতেই চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা । নানা মহল থেকে বিভিন্ন ধরনের জল্পনা শুরু হওয়ার পর সত্যিই খানিকটা ভয় পেয়ে গেছিলেন ভিন রাজ্যে কর্মরত ওই শ্রমিকেরা । ট্রেন বন্ধ । আন্তঃরাজ্য সড়ক পরিবহনও বন্ধ । তাও লকডাউনকে ফাঁকি দিয়ে যেসব বাস-লরি-ট্রাক চলাচল করেছে, তাতেই রাজ্যে ফিরেছেন ওঁরা । যে যা পেয়েছেন তাতেই ফিরে এসেছেন বাড়ির পথে । কোনওভাবে লকডাউন পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য শেষ হয়েছে সম্পূর্ণ সঞ্চয় ।

আর এই সময়ে বাস - লরি চালকরাও পুরো সুযোগ নিয়েছেন । কখনও সাত হাজার, কখনও দশ হাজার, কখনও বা বারো হাজার । যে যেমন পেরেছে লুঠে নিয়েছে । জমানো সবটুকু টাকা খুইয়ে রাজ্যে ফিরেছেন তাঁরা । কিন্তু রাজ্যে ফিরেও কাজ পাচ্ছেন না সেভাবে । অভিযোগ রয়েছে, সরকারি সাহায্য ঠিকভাবে মিলছে না । চাল-ডাল অবশ্য পেয়েছেন তাঁরা । তবে নেই কোনও কর্মসংস্থান । খুব স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত রায়গঞ্জ ব্লকে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকেরা । এখন বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতেও ভয় লাগে ওঁদের । কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার যদি তাঁদের কর্মসংস্থানের কিছু একটা ব্যবস্থা করে, তবে ফের বাঁচার আশা পায় ওঁরা ।

পঞ্চায়েত সমিতির তরফে অবশ্য কর্মসংস্থান নিয়ে সমস্যার কথাটা কিছুটা মেনে নেওয়া হয়েছে । বলা হয়েছে, যেসব পরিযায়ী শ্রমিকেরা 100 দিনের কাজের জন্য আবেদন করেছেন তাঁদেরকে কাজ দেওয়া হয়েছে । তবে অনেকেই এই ধরনের কাজের সঙ্গে অভ্যস্ত নন । ফলে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা ।

ভিন রাজ্য ফেরত শ্রমিকদের একাংশ বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার যদি কৃষি ঋণ মকুব করে, তবে একটু নিশ্চিতভাবে বাঁচতে পারবেন তাঁরা ।

হরিয়ানা থেকে ফিরে আসা এক শ্রমিক সুকেশ প্রামাণিক বলেন, "লকডাউনের মধ্যে 10 হাজার টাকা খরচ করে গাড়ি ভাড়া করে বাড়ি ফিরেছি । যা সঞ্চয় ছিল তা যাতায়াতের পথে খরচ হয়ে গেছে । বাড়ি ফিরে আসার পর কোনও কাজের সন্ধান পাচ্ছি না । যদি আগামীতে সরকার আমাদের কথা চিন্তা করে কিছু সাহায্য করে, তবে আমরা উপকৃত হব ।"

অন্য এক শ্রমিক নরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, "দিল্লিতে হাউসকিপিং-এর কাজ করতাম । সেখানে গিয়ে কিছুটা উপার্জন করার জায়গা তৈরি হয়েছিল । কিন্তু লকতডাউনের মধ্যে সাড়ে সাত হাজার টাকা খরচ করে ফিরে আসতে হয়েছে । যেটুকু সঞ্চয় করেছিলাম তাও শেষ হয়ে গেছে । স্থানীয় প্রশাসন আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকালে আমরা অনেক বেশি উপকৃত হব ।"

লকডাউনের শুরুতে রাজ্যে ফেরার জন্য বাসের ভাড়া চাইছিল সাত হাজার থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা । কিন্তু এত টাকা দিয়ে বাসভাড়া দিয়ে আসার টাকা ছিল না শক্তি সরকারের । অপেক্ষা করছিলেন কবে ভাড়া কমবে । তিনি বলেন, "আমি এবং আমার স্বামী দু'জনে দিল্লিতে থাকতাম । সেখান থেকে বহু টাকা খরচ করে আমাদের ফিরে আসতে হয়েছে । আমাদের সঞ্চিত টাকা যা ছিল, সমস্তটাই শেষ হয়ে গেছে । শুনেছিলাম স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সাহায্য করবে । কিন্তু এখনও পর্যন্ত চাল, আলু ছাড়া অন্য কিছু সাহায্য পায়নি ।"

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মানস ঘোষ বলেন, "এটা শুধুমাত্র রায়গঞ্জ ব্লকের সমস্যা নয় । সমগ্র দেশে একই সমস্যা । আমাদের রাজ্যে তবুও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কাজের সংস্থান করেছি । অন্যান্য জায়গায় সেটাও নেই । যেসকল পরিযায়ী শ্রমিক আমাদের কাছে কাজের আবেদন করেছেন তাদেরকে আমরা কাজ তৎক্ষণাৎ দিয়েছি । আমাদের মনে হয় কেন্দ্রীয় সরকার যদি কৃষি ঋণ মুকুব করে দিত, সেক্ষেত্রে এই সব শ্রমিকের নিজেদের জমিতে কিছু চাষবাস করে অবশ্যই ভালো থাকতে পারত ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.