রায়গঞ্জ, 6 অক্টোবর : জমিতে গোরু ঢোকা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির । মৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ হোসেন (50) । আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জ ব্লকের উত্তর রামপুর এলাকায় । গুরুতর জখম অবস্থায় আরও এক ব্যক্তি ভরতি রয়েছেন রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও ওই ব্যক্তিকে বারবার জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারধর করেছিল অভিযুক্তরা ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর রামপুর এলাকার বাসিন্দা হোসেনের গোরু তাঁর জমিতেই বাঁধা ছিল বলে পরিবারের দাবি । সেই সময় প্রতিবেশীর বাড়ির ছ-সাতজন এসে ওই গোরুটিকে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন । তাঁদের দাবি, গোরুটি প্রতিবেশীর জমিতে গিয়ে ঘাস খাচ্ছিল । প্রথমবারে হোসেন গোরু সরিয়ে নেয় । পরবর্তীকালে সকাল দশটা নাগাদ ওই গোরু নিয়ে ফের বিবাদ শুরু হয় ।
এরপরই প্রথমে দুইপক্ষের মধ্যে বচসা হয়, পরে তার থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় । এরপরই হোসেনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা । ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ । তার কিছুক্ষণ পরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হোসেন । তাঁর এই অবস্থা দেখে ডানিশ আলি ছুটে আসেন হোসেনকে বাঁচাতে । পরিবারের বাকি সদস্যরাও তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান । এই সময় বেপরোয়াভাবে পরিবারের বাকি সদস্যদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ।
গুরুতর জখম অবস্থায় ডানিশ আলি এবং হোসেনকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে হোসেনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । অন্যদিকে ডানিশের চিকিৎসা চলছে । তাঁর বাঁ হাতে গুরুতর চোট রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা । অভিযুক্ত প্রতিবেশীরা বর্তমানে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন ।
হোসেনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম বলেন, "হঠাৎ করে প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমার স্বামীকে খুন করেছে । জমিতে গোরু ঢোকা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বচসার পর এই ঘটনা ঘটেছে । এর আগেও ওই প্রতিবেশীরাই আমার স্বামীকে মারধর করেছিল । এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের চরম শাস্তি চাই ।"
হোসেনের ছেলে মহম্মদ হালিম বলেন, "সকাল ছ'টায় প্রথম দফায় ঝামেলা শুরু হয় । সেই সময় বাবা গোরু সরিয়ে নিলেও তারপর আবার একইভাবে গোরু নিয়ে দশটা নাগাদ ঝগড়া শুরু করে প্রতিবেশীরা । তারপরেই বাবাকে মারধর করে সামনের গর্তে ফেলে দেয় । তাঁর মাথায় সজোরে বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হয় । এরপরই মৃত্যু হয়েছে তাঁর । দোষীদের শাস্তি চাইছি ।"