রায়গঞ্জ, ৩ মার্চ : কালিয়াগঞ্জের প্রশাসনিক সভা থেকে BSF-এর কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর মতে, BSF-এর দায়িত্ব শুধুমাত্র সীমান্তবর্তী এলাকা রক্ষা করা । বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে সামাজিক প্রকল্পের কাজ তারা কোনওভাবেই করতে পারে না । তাই এই বিষয়ে সীমান্ত সংলগ্ন থানার OC ও IC-দের নজর রাখার নির্দেশ দেন । একই সঙ্গে BSF-র জওয়ানরা যাতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে কোনও সামাজিক সুরক্ষামূলক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারে তাও নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ।
আজ সরকারি পরিষেবা বিতরণমূলক অনুষ্ঠান করার পর মুখ্যমন্ত্রী উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত স্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন । জেলার বিভিন্ন বিভাগের কাজের খতিয়ান সবার সামনে তুলে ধরেন। যে কাজগুলি ধীরগতিতে চলছে সেগুলি দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন । সব শেষে তিনি BSF-এর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেন । উপস্থিত আধিকারিকদের বলেন, "BSF নিয়ে আমাদের যে সকল আপত্তি রয়েছে তা আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছি । BSF-এর বাড়াবাড়ি আমরা বরদাস্ত করব না । BSF-এর কাজ সীমান্ত রক্ষা করা । গ্রামে গ্রামে ঘুরে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের কাজ তারা কোনওভাবেই করতে পারে না । এটা স্থানীয় থানার OC-দের কাজ । যদি ওরা কোথাও ঢুকে কোনও ঝামেলা করে তবে কিন্তু আমি আপনাদের ধরব । আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের কাজ । প্লিজ় এটা আপনারা দেখবেন ।"
প্রশাসনিক সভা থেকে বক্তব্য রাখার সময় দিল্লির ঘটনাকে উল্লেখ করে মমতা বলেন, "পাঞ্জিপাড়াসহ জেলার একাধিক জায়গায় বেশি করে নজর রাখতে হবে । দিল্লিতে যে রকম ঘটনা ঘটছে তা তো আমাদের এখানে ঘটতে দিতে পারি না । আমরা মানবিক । দিল্লি বা বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে অনেক নেতাই বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি নিয়ে বা হোটেল ভাড়া করে থাকছে । তারা হিন্দু মুসলিমসহ একাধিক ধর্মালম্বীদের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করবে । কোথাও কোথাও আদিবাসীদের ধরে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে । এই সকল বিষয়ে নজর রাখতে হবে । বর্গীবাবুরা কম দামে চাল দেবে বলে নির্বাচনের আগে এসে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে । পরে নির্বাচন মিটে গেলেই তারা পালিয়ে যায় । তাই বিভিন্ন এলাকার পুলিশকে বলব এই বিষয়ে নজর রাখবেন ।"